গাইবান্ধায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ঠাঁই না পেয়ে রাস্তার পাশে
পরিত্যক্ত ঘরে সন্তান প্রসব করলেন এক প্রসূতি। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসীর
সহযোগিতায় নবজাতকসহ মাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটি সুস্থ আছে বলে
জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এর আগে এই একই হাসপাতাল থেকে গত ৬ এপ্রিল এক প্রসূতিকে তাড়িয়ে দেয়া
হয়েছিল। পরে কেন্দ্রের কয়েকশ’ গজ দূরেই অটোরিকশায় সন্তান প্রসব করেছিলেন
সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা মিষ্টি
আকতার।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ঐ হাসপাতালের দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মীরা
আবারও চরম অমানবিক ও বর্বরতার পরিচয় দিল। স্বাস্থ্যকর্মীর অমানবিক আচরণের
কারণে রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত ঘরে সন্তান প্রসব করতে হলো প্রসূতিকে।
ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) রাতে সাঘাটা উপজেলার
বোনারপাড়ার অন্তঃসত্ত্বা নারী জেমি আক্তারের প্রসব বেদনা উঠলে তাকে মা ও
শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে যান তারা। হাসপাতালে পৌঁছার পর সেখানের
পরিদর্শিকা সেলিনা বেগম অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীকে নিয়ে অন্যত্র যেতে বলেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও কর্ণপাত না করে উল্টো
গালমন্দ করে বের করে দেয়া হয় তাদের। পরে শহরের ডিবি রোডের পাশে পরিত্যক্ত
ঘরে মেয়ে সন্তান প্রসব করেন ওই প্রসূতি।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিছে। চড়ও মারছে।
পরে এলাকাবাসী ও পুলিশের সহযোগিতায় অসুস্থ অবস্থায় মা ও শিশুকে গাইবান্ধা
সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন,
খবর পেয়ে আমরা অসুস্থ অবস্থায় মা ও নবজাতককে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা
করি।
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। এখন মা-মেয়ে দুজনই ভালো আছে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার ভয়ে তাকে ভর্তি করা
হয়নি বলে জানান মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকা সেলিনা বেগম।