করোনাকালে
পাল্টে গেছে জীবন ও জীবিকা। উপার্জন হারিয়ে কিংবা কমে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত
মানুষেরই নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। সেক্ষেত্রে নিম্নবিত্ত ও বিত্তহীন দরিদ্র
মানুষের কথা তো বলাই বাহুল্য। যে ভাগ্যান্বেষে মানুষ স্নিগ্ধ গ্রাম ফেলে
রেখে শহরে এসে আশ্রয় নিয়েছিল, করোনাভারাইরাস তাদেরকে সেই শহর থেকে বের করে
দিয়েছে।
দুটি বেসরকারি সংগঠন কর্তৃক পরিচালিত পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, করোনাকালে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে চলে গেছেন অন্তত ১৬ শতাংশ দরিদ্র মানুষ।
পাওয়ার
অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট
অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) নামের দুটি সংগঠন করোনাকালে
দরিদ্র মানুষের আর্থিক অবস্থা জানতে এই জরিপ পরিচালনা করে। করোনার ১ মাস
অতিবাহিত হওয়ার পর গত এপ্রিলেও তারা একটি জরিপ প্রকাশ করেছিল। এরপর আজ
মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘লাইভলিহুড, কোপিং অ্যান্ড রিকভারি
ডিউরিং কোভিড-১৯’ শীর্ষক গবেষণা তুলে ধরে।
এই জরিপের আওতায় ২০ জুন
থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৩৮টি পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
পরিবারগুলোর মধ্যে ৫৫ শতাংশের বেশি শহুরে, ৪৩ শতাংশের বেশি গ্রামের এবং ১
দশমিক ২২ শতাংশ পার্বত্য চট্টগ্রামের। দেখা গেছে, এপ্রিল মাসে ৬ শতাংশ
দরিদ্র মানুষ ঢাকা ছেড়ে চলে গেছে। মে মাসে এই সংখ্যা ছিল ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ
এবং জুন মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
পরিসংখ্যানে
উঠে এসেছে আরো অনেক তথ্য। করোনাকালে শহুরে দরিদ্র মানুষের আয় কমে গেছে ৪৩
শতাংশ। সবচেয়ে বেশি কমেছে রিকশাচালকদের আয়, প্রায় ৫৪ শতাংশ। এরপর আছেন
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পরিবহনশ্রমিকরা। বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন
বলেন- চরম দরিদ্র, মাঝারি দরিদ্র, ঝুঁকিতে থাকা নতুন দরিদ্র এবং নতুন
দরিদ্র- সুনির্দিষ্টভাবে এই চার শ্রেণির মতামত উঠে এসেছে জরিপে।