মহম্মদপুরের বাবুখালীতে কলেজ ছাত্রীর গায়ে আগুন লাগিয় হত্যা চেষ্টার অভিযোগ, গ্রেফতার- ৫

মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরার মহম্মদপুরে কলেজ ছাত্রী আকলিমা খাতুন আখিকে বেঁধে গায়ে আগুন লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আখি উপজেলা সদররে কাজী সালিমা হক মহিলা কলজের ১ম বর্ষর ছাত্রী এবং করিনগর গ্রামের আকরাম মোল্যার বড় মেয়ে। অগ্নিসংযোগের বিষয়ে দুই পরিবারের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।

গত শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের কেরিনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

আজ (১৭ আগস্ট) সোমবার দুপুরে এ বিষয় মহম্মদপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ জনকে আসামিকে একই ইউনিয়নের ডুমুরশিয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকতরা হলো- আরিফ মোল্যা, হারেজ মোল্যা, মাসুদ মোল্যা, কামরুল হাসান ও বাবুল মোল্যা।

পরিবার ও পুলিশ সুত্র জানা যায়, ঘটনার দিন রাতে বাড়ির মধ্যে পরিবারর সাথে কথা বলার সময় আখি বাথরুম যাওয়ার কথা বলে উঠে আসে। কিছু সময় পর তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে দেখে বাঁধা অবস্থায় আখির গায়ে আগুন জ্বলছে। তখন বাড়ির লোকজন অগ্নিদগ্ধ আখিক উদ্ধার করে প্রথম মাগুরা মেডিকল কলেজ হাসপাতালে তারপর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশংখাজনক হওয়ায় পর ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী হাসপাতালের আই সি ইউতে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে সে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে।

একটি সূত্র জানায়, আটককৃত মাসুদের ছেলে নাজমুলের সাথে আখির বিয়ে হয়। কিছুদিন পর আখির বিয়ের বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে আবার নাজমুল বিয়ের জন্য চাপ দিলে আখির পরিবার এতে রাজি হননি। তবে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আখির গায়ে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আখির চাচা নজরুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ আখি চিৎকার কারে উঠলে তাকে বাথরুমে বাধা ও শরীরে আগুন ধরা অবস্থায় দেখতে পাই। পরে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করি। এ ঘটনায় আমি কাউকে ঘটনাস্থলে দেখতে পায়নি।

মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস বলন, এ বিষয় ৭ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছে আখির দাদা। অভিযুক্ত ৫ জনক গ্রেফতার করে কার্টে পাঠানা হয়েছে। বাকীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।