বিশেষ প্রতিনিধি ঃ
অবশেষে সোনাগাজীর সেই দুই কালপিট আবু মুসা তুহিন ও মোস্তফাসহ ৬ দাগী অপরাধীর বিরুদ্ধে ১ সেপ্টেম্বর বুধবার সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নালিশী মামলার দায়ের করলেন সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যু পথযাত্রী দিনমজুর আব্দুল কাদের নোমান। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ডিবির ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ও আদালত সূত্রে জানা গেছে গত ২০ আগস্ট রাতে পশ্চিম চরখোয়াজ গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছেলে জাহিদের বিয়েতে বিকট শব্দে লাউড স্পিকার বাজাতে থাকলে অসুস্থ প্রতিবেশি আব্দুল কাদের নোমান তাদেরকে শব্দ দুষণ বন্ধ করার অনুরোধ করে। তারা শব্দ দুষণ বন্ধ না করে আরো জোরে মাইক বাজাতে থাকলে অসুস্থ নোমান অসহ্য হয়ে ৯৯৯ ফোন করলে রাত ১২টার দিকে পুলিশ গিয়ে বিকট শব্দের লাউড স্পিকার বন্ধ করে দেয়। পুলিশ চলে গেলে আসামীরা আবারো একই ভাবে মাইক বাজাতে থাকে। পরদিন ২১ আগস্ট বিকেল বেলা দিন মজুর নোমানকে রাস্তার উপর একা পেয়ে চিহ্নিত সন্ত্রাসী তুহিন ও মোস্তফার নেতৃত্বে ভিকটিম কে বেআইনি ভাবে পথ রোধ করে এবং ৯৯৯ ফোন করার অপরাধে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত আক্রমন করে।
আসামীরা লোহার রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে এবং তলপেটে কয়েকটি লাথি দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। আসামী আবু মুসা তুহিন ভিকটিমের পকেটে থাকা স্যামসাং মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আসামী মোস্তফা ভিকটিমের পকেট থেকে নগদ ৫৩০০ টাকা নিয়ে যায়। এই ঘটনা প্রকাশ করলে ভিকটিমকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন গুরুতর রক্তাক্ত জখমী অবস্থায় দিনমজুর নোমানকে উদ্ধার করে সোনাগাজী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের নির্দয় আঘাতে নোমানের পায়ুপথে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়। রক্তক্ষরণ এখনো অব্যহত আছে। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় ২৩ আগস্ট উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেনী শহরে যায়। ফেনীতে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ী ফেরার পথে সোনাগাজী জিরো পয়েন্টে কুখ্যাত দাগি অপরাধী তুহিন, মোস্তফা ও হাসান ভিকটিমের পথরোধ করে আবারো হত্যার হুমকি দিয়ে বলে,৯৯৯ ফোন করার কারনে আমাদের ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন প্রাণে বাঁচতে চাইলে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। চিল্লাচিল্লি শুনে মানবাধিকার নেতা কাজী মিজানুর রহমান মিস্টার ও সাংবাদিক আবছার সোহাগ সহ আরো লোকজন এগিয়ে এসে ভিকটিমকে প্রাণে রক্ষা করে। দাগি অপরাধী তুহিন ও মোস্তফা সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি দিয়ে বলে- সাংবাদিকদের কারণে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নিতে পারলাম না। আমরা এই ২ সাংবাদিককে দেখে নিব।
এতসব গুরুতর অপরাধ সংগঠিত করে কালপিট তুহিন, মোস্তফাসহ আসামীরা নিজেদের পরিনতি খারাপ হবে বুঝ
তে পেরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। তারা নিজেদের রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা কাহিনি সাজিয়ে উড়ো চিঠি দিচ্ছে ও ফেসবুকে মানহানিকর উক্তি করছে। দাগি অপরাধীদের ধারণা - বিভিন্ন দপ্তরে উড়ো চিঠি দিলে এবং ফেসবুকে মানহানিকর উক্তি করতে থাকলে তারা অপরাধ করে পার পেয়ে যাবে। দাগি কালপিট তুহিন ও মোস্তফার এমন কারবারে সোনাগাজীর সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যুপথযাত্রী আব্দুল কাদের নোমান কিছুটা সুস্থ হয়ে দাগি অপরাধী লাতুর ছেলে আবু মুসা তুহিন, আহসান উল্ল্যাহর ছেলে মোস্তফা, আমান উল্ল্যাহার ছেলে নাসির উদ্দিন সহ ৬ অপরাধীর বিরুদ্ধে ১ সেপ্টেম্বর ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নালিশি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ডিবির ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এলাকার সর্বস্তরের মানুষ দাগি অপরাধী আবু মুসা তুহিন ও মোস্তফা সহ তাদের সহযোগীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিøষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেন।