শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
রাস্তার কাজ না করে টাকা ভাগাভাগি( সওজ) ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে রূপগঞ্জে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন মাগুরা গোপালগ্রাম ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এ্যাডভোকেট মিথুন রায় চৌধুরী পটুয়াখালী ভার্সিটির, পোস্টগ্রাজুয়েট স্ট্যাডিজ কমিটির সভা।। দুস্থ ও অসহায় মানুষের ভরসা যেন ঝর্ণা মান্নান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট সাপাহারে জোর পূর্বক লক্ষাধিক টাকার মাছ উত্তোলন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায়, মসজিদের ইমামের গরু লুট।। দুমকি উপজেলায়, গরু লুঠ মামলার ২ আসামি আটক শ্রীনগর থানা থেকে যুবদল নেতাকে ছিনিয়ে নিলো বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নওগাঁর মান্দায় ভূমিহীন কৃষকদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
Headline
Wellcome to our website...
ক্লিনিকে সিজার করতে এসে হলেন লাশ
/ ৩ Time View
আপডেট : রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:২০ পূর্বাহ্ন

 মাগুরায় এহসান ক্লিনিকে সিজার করতে এসে শিলা বেগম নামের এক দম্পতির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়
মোঃ রনি আহমেদ রাজু ক্রাইম রিপোর্টার মাগুরা

গত ১০ সেপ্টেম্বর মাগুরার এহসান ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশন করতে আসা শিলা (২৭) নামের এক রোগীর মৃতু হয়ছে। শিলা বেগম মাগুরা সদরের বেলনগর গ্রামের লাভলু মোল্লা র ছেলে নয়ন মোল্লার স্ত্রী।নয়ন মোল্লার স্ত্রী শিলা বেগম আনুমানিক দুপুর ১.৩০ সময় সিজারিয়ান অপারেশন করার জন্য মাগুরা এহসান ক্লিনিকে ভর্তি হয় । শিলা বেগমের স্বামী অপারেশন করার জন্য ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সাথে ১২০০০ টাকায় চুক্তি করেন। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অপারেশন করানোর জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ অপূর্ব কুমার বিশ্বাসকে ঠিক করেন। ডাক্তার অপূর্ব কুমার বিশ্বাস সিজার সম্পন্ন করেন এবং শিলা বেগম একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন । ঠিক ওই সময় ডাক্তার অপূর্ব কুমার বিশ্বাস ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শিলা বেগমের স্বামী মোঃ নয়ন মোল্লাকে জানান তার স্ত্রীর পাকস্থলীতে এপান্ডাডিস রয়েছে।এখন যদি এপেন্ডিসটি অপারেশন করতে চান তাহলে স্বল্প খরচে করা সম্ভব হবে।ভবিষ্যতে করতে গেলে অনেক টাকা পয়সা ব্যয় হবে এবং রোগীর জন্য এটা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হবে। এইভাবে ভীতিকর তথ্য দিতে থাকেন। এখন আপনারা কি করবেন?

আমরা অতিরিক্ত টাকা দিতে রাজি হলে আমার স্ত্রী শিলা বেগমকে পুনরায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায় এবং এপেন্ডিসাইড অপারেশন এর নামে পুনরায় ভূল অস্ত্রোপচার করলে আমার স্ত্রীর প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এভাবে রক্তক্ষরণ হয়ে আমার স্ত্রী অপারেশন থিয়েটারের মধ্যেই মারা যায়। মৃত অবস্থায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ শুধু কালক্ষেপণ করিতে থাকে। মৃত অবস্থায় রাত দশটা পর্যন্ত অপারেশন থিয়েটারের মধ্যে রেখে নানা ধরনের নাটক করতে থাকে। এক পর্যায় রোগীকে আইসিইউতে পাঠাতে হবে বলে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন।

এ ব্যাপারে মাগুরার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন একজন সিজারিয়ান অপারেশনের রোগী কে মেরে ফেলে এভাবে সাত-আট ঘণ্টা অপারেশন থিয়েটারে আটকে রেখে বিভিন্ন কৌশলে ঢাকায় হস্তান্তরের অপচেষ্টা একটি জঘন্য কাজ। এই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page