শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
রাস্তার কাজ না করে টাকা ভাগাভাগি( সওজ) ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে রূপগঞ্জে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন মাগুরা গোপালগ্রাম ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এ্যাডভোকেট মিথুন রায় চৌধুরী পটুয়াখালী ভার্সিটির, পোস্টগ্রাজুয়েট স্ট্যাডিজ কমিটির সভা।। দুস্থ ও অসহায় মানুষের ভরসা যেন ঝর্ণা মান্নান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট সাপাহারে জোর পূর্বক লক্ষাধিক টাকার মাছ উত্তোলন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায়, মসজিদের ইমামের গরু লুট।। দুমকি উপজেলায়, গরু লুঠ মামলার ২ আসামি আটক শ্রীনগর থানা থেকে যুবদল নেতাকে ছিনিয়ে নিলো বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নওগাঁর মান্দায় ভূমিহীন কৃষকদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
Headline
Wellcome to our website...
মাগুরায় গৃহবধূ হত্যার দায়ে স্বামীসহ ৪-৫ জন অজ্ঞাত নামা ব্যক্তির নামে মামলা
/ ৩ Time View
আপডেট : রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন

 

 ইমান উদ্দীন
মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের পাকাখর্দ গ্রামে হেনা বেগম (৩৪) নামে এক গৃহবধূর হত্যার দায়ে তার স্বামী সহ ৪/৫ অজ্ঞাত লোকের বিরুদ্ধে মাগুরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
গত ০৬ সেপ্টেম্বর হেনা বেগম নির্মমভাবে খুন হয়।
তার স্বামীর বাড়ীর পাশের একটি বাগানে ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়।

তার মৃতদেহের গলায় ফাঁসসহ শরীরে একাধিক ক্ষত আছে বলে জানিয়েছিল পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে হেনার স্বামী মফিজুর রহমান নিখোঁজ রয়েছেন।

নিহত হেনা বেগম মফিজুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি ঝিনাইদহের অচিন্ত নগর।

মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদিন জানান, রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এলাকাবাসির খবরের ভিত্তিতে গৃহবধূ হেনা বেগমের স্বামী মফিজুর রহমান এর বাড়ির নিকটবর্তী একটি বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। নিহতের গলায় ফাঁসের দাগসহ শরীরে একাধিক ক্ষত ছিল ঘটনার পর থেকে তার স্বামী মফিজুর রহমান নিখোঁজ রয়েছেন। স্বামী মফিজুরের সন্ধানসহ ঘটনার জোর তদন্ত করছে পুলিশ।

নিহত হেনা বেগমের এর ভাই ফরিদ জানান, ৬ সেপ্টেম্ব দুপুর তিনটার দিকে আমাদের এলাকায় চৌকিদারের মাধ্যমে আমরা খবর পাই আমার বোন হেনা বেগম কে নির্মমভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন বিগত ১৮ বছর আগে পাকা খার্দ্দ গ্রামের মোঃ মফিজুর রহমান পিতাঃ মৃত রমজান বিশ্বাসের ছেলের সাথে আমার বোন হেনা বেগমের বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই মোঃ মফিজুর রহমান ও তার ভায়েরা এবং পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য আমার বোনকে নানা ভাবে নির্যাতন করতো। কখনো কখনো মফিজুর রহমানের বড় ভাই মিজানুর রহমান, ছোট ভাই জিল্লুর রহমান, ও কামরুজ্জামান আমার বোন কে তালাক দেওয়ার কথা বলে আমার ভগ্নিপতিকে চাপ দিত।যে তালাক দিয়ে দে যত টাকা লাগে আমরা দিব।কিছু দিন আগেও আমার বোনের ব্যবহারকৃত আসবাবপত্র সহ তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয় আমার ভগ্নপতির ভাই মিজানুর রহমান। আমার বোন জামাই মোঃ মফিজুর রহমান কে আমরা সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য ছয় লক্ষ টাকা প্রদান করি। তারপর উনি সৌদি আরব থেকে ফেরত এসে একাধিকবার যৌতুকের জন্য আমার বোনকে নির্যাতন করত। একাধিকবার আমরা বিভিন্ন ভাবে জমিজমা বিক্রি করে যৌতুকের টাকা প্রায় ০৮ লক্ষ টাকা পরিশোধ করি। সর্বশেষ গত কয়েকদিন আগে সে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। গতকাল ০৫ সেপ্টম্বর আমরা তাকে ২০০০০ টাকা একটি স্থানীয় এনজিওর মাধ্যমে উত্তোলন করে প্রদান করি। এই টাকা নিয়ে আমার বোন মফিজুর রহমানের বাসায় যায়। তারপর আমরা তার মৃত্যুর খবর পায়। হত্যার বর্ণনা দিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন চাকু দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ৫-৭ জায়গায় আঘাত করে জবাই করা হয়েছে। সরেজমিন অনুসন্ধান করে দেখা যায় যে, মফিজুর রহমান ও তার ভাই মিজানুর রহমান, জিল্লুর রহমান, কামরুজ্জামান ও তার ভাতিজা রিপন বিশ্বাস বিভিন্ন সময় হেনা বেগমের এর উপর নির্যাতন চালাতো এবং তাকে তালাক দেওয়ার কথা বলতো। এলাকাবাসী জানান যে তারা দীর্ঘদিন যাবত ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে বিভিন্নভাবে অবৈধ ক্ষমতার প্রয়োগ করে মানুষকে হয়রানি করে আসছে এবং বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে।তাদের এহেন কার্যক্রম যদি বন্ধ না করা যায় তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে আমরা মনে করছি।

নিহতের ভাই অভিযোগ করে বলেন ১। মোঃ মফিজুর ২। মিজানুর রহমান ৩। জিল্লুর রহমান ৪। কামরুজ্জামান, সর্ব পিতা রমজান বিশ্বাস ৫।রিপন বিশ্বাস পিতা রওশন বিশ্বাস সহ পরিবারের লোকজন আমার বোনকে সহ্য করতে পারত না। যেমন কিছুদিন আগের একটি ঘটনা আমার বোন তার শশুরবাড়ীতে গেলে মিজানুর রহমান আমার ভগ্নিপতি কে বলেন তোকে না বলছি তোর এই বউকে হয় তালক দিবি না হলে মেরে ফেলতে। যত টাকা লাগে আমি দিব। আমি এই ইউনিয়ানের হর্তাকর্তা সুতরাং কিছুই হবে না। এই কথা বলার পর আমার ভগ্নিপতি, কামরুজ্জামান, জিল্লুর রহমান রিপন বিশ্বাস হাতুড়ি, স্যানদা দিয়ে আমার বোনের উপর আক্রমণ করে। আল্লাহর রহমতে ঐ দিন আমার বোন দৌড়ে পালালে বেচে যায়।সুতরাং এরাই আামার বোনকে পরিকল্পিতভাবে জবাই করে হত্যা করেছে।এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে আমি ৫ জনের নামে অভিযোগ লিখলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাকে বলেন মোঃ মফিজুর রহমানকে আসামি করে মামলা করেন আর বাকি চারজন অজ্ঞাত নামা দিয়ে দেন।তাই মোঃ মফিজুর রহমান পিতাঃ রমজান বিশ্বাস কে ১ং আসামি আর চার জনকে অজ্ঞাত করে মাগুরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছি। কিন্তু আমরা এতে সন্তুষ্ট নয় কারণ এত বড় একটি জঘন্য হত্যাকাণ্ড একজনের দ্বারা সংগঠিত হতে পারে না তাই আমাদের ধারণা পরিবারের অন্য সবাই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page