পুলিশের চাকরি পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেললেন পিতৃহীন হতদরিদ্র পরিবারের কন্যা তপতী চক্রবর্তী
মোঃ রনি আহমেদ রাজু ক্রাইম রিপোর্টার মাগুরা
পুলিশের চাকরি পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেললেন পিতৃহীন হতদরিদ্র পরিবারের কন্যা তপতী চক্রবর্তী…….
মৌখিক পরীক্ষার পর চুড়ান্ত ফলাফলে নাম ঘোষণার সাথে সাথে আনন্দে কেঁদে ফেললেন তপতী চক্রবর্তী। যদিও পরের দিন শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ছয় হাজার টাকাও ছিলনা তপতী কিংবা তার বিধবা মায়ের কাছে। যে কারণে চুড়ান্ত নাম ঘোষণার পরও টেনশনের শেষ ছিল না। কিন্ত পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ানের মহানুভবতায় সেই দুশ্চিন্তাও দুর হলো তার। তপতীর অর্থনৈতিক অসহায়ত্বের বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ সুপার এই মেডিক্যাল পরীক্ষার টাকা দেওয়ার দায়িত্বও নিয়েছেন। গতকাল মাগুরা পুলিশ লাইনে কনস্টেবল পদে মৌখিক পরীক্ষার পর এই ঘটনা ঘটে। কোন ঘুষ ছাড়াই মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশ কনেস্টবল পদে এই নিয়োগ চুড়ান্ত করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতেই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর শনিবার মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে চুড়ান্তভাবে মনোনিত হন তপতী চক্রবর্তী। চাকরির জন্য এ পর্যন্ত তার ব্যাংক ড্রাফট করতে খরচ হয়েছে মাত্র এক’শ টাকা।
মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি সেইসাথে তপতী চক্রবর্তী দিদিভাইকে জানাই অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অভিনন্দন এবং শুভকামনা।
মহিলা পুলিশ বাংলাদেশ