ছবি : সংগৃহীত
টিকিট
ও ফ্লাইটের দাবিতে আজও রাজধানী বিক্ষোভ করছেন সৌদি আরব প্রবাসীরা।
রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘেরাও করে তারা
বিক্ষোভ করছেন। ফলে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এর আগে আজ ২৩
সেপ্টেম্বর, বুধবার সকাল থেকে তারা কারওয়ান বাজারে সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের
অফিসের সামনে ফুটপাতে অবস্থান নেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিক্ষোভ থেকে ঘোষণা
আসে, তারা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় এবং জনকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে দাবি-দাওয়া নিয়ে যাবেন।
এর
পরপরই সাড়ে ৯টার দিকে তারা কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ ধরে মন্ত্রণালয়গুলোর
উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। সকাল সোয়া ১০টা থেকে তারা প্রবাসীকল্যাণ
মন্ত্রণালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নেন।
সৌদি প্রবাসী আলাল এ বিষয়ে
গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘ভিসার মেয়াদ বাড়ানো ও টিকিটের দাবিতে গত কয়েকদিন
ধরে আমরা আন্দোলন করছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কোনো সুরাহা হয়নি।
আমরা আজ প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এসেছি।’
আজো যদি কোনো ফয়সালা না করা হয়, তবে তারা সড়ক থেকে সরার হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি
বলেন, ‘করোনার আগে যারা দেশে এসেছিলেন, যেতে না পেরে অনেকের ভিসা ও আকামার
মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনেকের ভিসা,
আকামার মেয়াদ শেষ হবে। এই সময়ের মধ্যে যেতে না পারলে অনেকে কাজ হারাবেন।
তাই বাধ্য হয়েই এখানে এসেছি।’
চারদিন ধরে সৌদি আরব প্রবাসীরা
সাউদিয়া এয়ারলাইন্স ও বাংলাদেশ বিমানের টিকিট এবং ফ্লাইটের দাবিতে ভিড়
করছেন। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যায় তাদের প্রতিনিধি দল। সেখানে আকামা ও
ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আন্দোলন
স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে সড়ক অবরোধ তুলে নেয়া হয়েছিল।
করোনার মহামারীর
মধ্যে সময় যারা দেশে এসেছিলেন, যেতে না পেরে ইতোমধ্যে অনেকের ভিসা ও আকামার
মেয়াদ শেষ হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনেকের ভিসা, আকামার মেয়াদ শেষ
হবে। তাদের ইকামা ও ভিসার মেয়াদ আরেক দফা বাড়াতে দেশটির সরকারকে অনুরোধ
জানিয়েছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে প্রবাসীদের ইকামার মেয়াদ তিন দফা বাড়িয়েছে
সৌদি আরব।
গতকাল মঙ্গলবারও সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসব বিষয়ে
একটি চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। সেখানে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, ইকামা
কিংবা ভিসা, বাংলাদেশের নাগরিকদের যার যেটা প্রয়োজন সেই অনুযায়ী মেয়াদ তিন
মাসের জন্য যেন বাড়ানো হয়।