বাংলাদেশের গণমাধ্যমকর্মীদের ইন্টারন্যাশনাল ও ন্যাশনাল অভিবাসন কর্মশালা
বাংলাদেশের গণমাধ্যমকর্মীদের ইন্টারন্যাশনাল ও ন্যাশনাল অভিবাসন কর্মশালা প্রশিক্ষণের সমাপ্তি
ইমান উদ্দীন
মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরা প্রতিনিধি
গণমাধ্যমকর্মীদের অভিবাসন বিষয়ক তিনদিনের কর্মশালা
জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের অভিবাসন বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।
জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের অভিবাসন বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।
অনলাইন মাধ্যমে পরিচালিত এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে যৌথভাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাইগ্রেশন পলিসি ডেভেলপমেন্ট (আইসিএমপিডি)। জার্মানির ফেডারেল ফরেন অফিসের অর্থায়নে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হলো অভিবাসনের বিষয়ে বিস্তৃত, সঠিক ও সময়োপযোগী প্রতিবেদন তৈরিতে জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সক্ষমতা বাড়ানো।
রোববার (১১ অক্টোবর) প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর আহমেদ মুনীরুছ সালেহীন। প্রশিক্ষণের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সময়োপযোগী এ আয়োজনের জন্য আইসিএমপিডি’কে ধন্যবাদ জানান তিনি।
উদ্বোধন পরবর্তী উপস্থাপনায় সচিব আহমেদ মুনীরুছ সালেহীন অভিবাসন, অভিবাসনের ধরন, বিশ্বব্যাপী অভিবাসনের বাস্তব চিত্র এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আলোকে নিরাপদ অভিবাসনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। অভিবাসনে সংশ্লিষ্ট প্রচলিত বিভিন্ন আইন, নীতি ও বিধিমালাসহ অভিবাসী কর্মীদের বিভিন্ন সমস্যা ও তা নিরসনের জন্য মন্ত্রণালয়ের নেয়া কল্যাণমুখী নানা পদক্ষেপের বিষয়েও তিনি আলোকপাত করেন।
নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা সরকারের একার দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন ‘‘অভিবাসন প্রত্যাশী ব্যক্তিকেও তার অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। কারণ নিরাপদ ও উপযুক্ত অভিবাসন নিশ্চিত করা সকলের সম্মিলিত দায়িত্ব।’’
জাতীয় অর্থনীতিতে অভিবাসীদের অবদান তুলে ধরে এক্ষেত্রে সরকরের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ এবং কর্মসূচি সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সাংবাদিক বন্ধুদের অনুরোধ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, অভিবাসীদেরও দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে এবং এ সম্পর্কে তাদেরকে সচেতন করা জরুরি। তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা উল্লেখ করে জনসচেতনতা তৈরিতে সাংবাদিকরা তাদের ভূমিকা রাখবে বলেও প্রত্যাশা করেন ডক্টর সালেহীন।
তিনি আরও বলেন, অভিবাসীদেরও দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে এবং এ সম্পর্কে তাদেরকে সচেতন করা জরুরি। তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা উল্লেখ করে জনসচেতনতা তৈরিতে সাংবাদিকরা তাদের ভূমিকা রাখবে বলেও প্রত্যাশা করেন ডক্টর সালেহীন।
প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় পর্বে মানবপাচার ও মানব চোরাচালান এবং অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আলোচনা করেন আইসিএমপিডি বাংলাদেশের প্রজেক্ট অফিসার খোন্দকার সোহেল রানা। তিনি অভিবাসন, মানবপাচার ও সুশাসন বিষয়ে উন্নয়নকর্মী হিসেবে প্রায় দেড় যুগ ধরে কাজ করছেন।
ঢাকাস্থ বিভিন্ন দৈনিক, টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমে কর্মরত প্রতিনিধিদের পাশাপাশি যশোর, জয়পুরহাট, খুলনা, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, বরিশাল, জামালপুর, নড়াইল, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, শেরপুর, বাগেরহাট, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, মাগুরা, চাঁদপুর এবং রাজশাহীসহ ১৮ জেলার মোট ২৫ জন গণমাধ্যমকর্মী এই প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন।
আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন আইসিএমপিডি বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ইকরাম হোসেন। প্রশিক্ষণ আয়োজনে সার্বিকভাবে সহায়তা করেন অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র (এমআরসি) বাংলাদেশ-এর কাউন্সেলর এস এম রিফাত শাহরিয়ার এবং ন্যাশনাল প্রজেক্ট অফিসার রাজীব নন্দন।
প্রশিক্ষণের তৃতীয় পর্বে ইন্টারন্যাশনাল বিষয়ের তথ্যর মধ্যে দিয়ে এই প্রোগ্রাম শেষ হয় ১৩ই অক্টোবর বিকাল তিনটায়।
মাগুরা জেলা হতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন জার্নালিস্ট প্রোগ্রাম অংশ গ্রহণ করেছেন জাতীয় দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকা এবং বাংলার অনুসন্ধান টিভির সম্পাদক সাংবাদিক এইচ এন কামরুল ইসলাম।
আপনার মতামত লিখুন :
Leave a Reply
More News Of This Category