নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা সরকারের একার দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন ‘‘অভিবাসন প্রত্যাশী ব্যক্তিকেও তার অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। কারণ নিরাপদ ও উপযুক্ত অভিবাসন নিশ্চিত করা সকলের সম্মিলিত দায়িত্ব।’’
জাতীয় অর্থনীতিতে অভিবাসীদের অবদান তুলে ধরে এক্ষেত্রে সরকরের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ এবং কর্মসূচি সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সাংবাদিক বন্ধুদের অনুরোধ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, অভিবাসীদেরও দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে এবং এ সম্পর্কে তাদেরকে সচেতন করা জরুরি। তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা উল্লেখ করে জনসচেতনতা তৈরিতে সাংবাদিকরা তাদের ভূমিকা রাখবে বলেও প্রত্যাশা করেন ডক্টর সালেহীন প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় পর্বে মানবপাচার ও মানব চোরাচালান এবং অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আলোচনা করেন আইসিএমপিডি বাংলাদেশের প্রজেক্ট অফিসার খোন্দকার সোহেল রানা। তিনি অভিবাসন, মানবপাচার ও সুশাসন বিষয়ে উন্নয়নকর্মী হিসেবে প্রায় দেড় যুগ ধরে কাজ করছেন।
ঢাকাস্থ বিভিন্ন দৈনিক, টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমে কর্মরত প্রতিনিধিদের পাশাপাশি যশোর, জয়পুরহাট, খুলনা, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, বরিশাল, জামালপুর, নড়াইল, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, শেরপুর, বাগেরহাট, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, মাগুরা, চাঁদপুর এবং রাজশাহীসহ ১৮ জেলার মোট ২৫ জন গণমাধ্যমকর্মী এই প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন।আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন আইসিএমপিডি বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ইকরাম হোসেন। প্রশিক্ষণ আয়োজনে সার্বিকভাবে সহায়তা করেন অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র (এমআরসি) বাংলাদেশ-এর কাউন্সেলর এস এম রিফাত শাহরিয়ার এবং ন্যাশনাল প্রজেক্ট অফিসার রাজীব নন্দন।প্রশিক্ষণের তৃতীয় পর্বে ইন্টারন্যাশনাল বিষয়ের তথ্যর মধ্যে দিয়ে এই প্রোগ্রাম শেষ হয় ১৩ই অক্টোবর বিকাল তিনটায়।মাগুরা জেলা হতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন জার্নালিস্ট প্রোগ্রাম অংশ গ্রহণ করেছেন জাতীয় দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকা এবং বাংলার অনুসন্ধান টিভির সম্পাদক সাংবাদিক এইচ এন কামরুল ইসলাম।