আরাধা রানী হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড
আরাধা রানী হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে শিশু আরাধা রানী হত্যা
মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি পক্ষ থেকে মাননীয় আদালত কে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই,এই রায়ে শুধু তার মা-বাবা খুশি নয়,সারা বাংলাদেশের মানুষ খুশি।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রশিদপুর মোলান গ্রামের আড়াই বছরের শিশু আরাধা রানীকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৭ লাখ টাকা অর্থ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন শিশু আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওই গ্রামের উত্তম কুমার সরকার, বিরেশ চন্দ্র কর্মকার, সন্তোষ সরকার ওরফে টেপলু, মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে রাব্বু ও ওবাইদুল ইসলাম। এদের মধ্যে জামিনে থাকা আসামি উত্তম পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রশিদপুর মোলান গ্রামের পরেশ চন্দ্র বর্মণের বাড়ির পার্শ্বে খেলাধুলারত অবস্থায় তার আড়াই বছরের শিশু আরাধাকে অপহরণ করা হয়। পরে একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আরাধাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। ওই দিনই অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে আরাধার বাবা পাঁচবিবি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ২৫ ডিসেম্বর ভোরে রশিদপুর মোলান বাজারসংলগ্ন একটি পুকুরপাড়ে মাটির ঢেলা দিয়ে চাপা দেওয়া আরাধার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মামলা তদন্তে জানা যায়, মোটা অঙ্কের অর্থের লোভে আসামিরা শিশুটিকে অপহরণ করে হাত-পা বেঁধে মুখে কস্টেপ পেঁচিয়ে একটি বাক্সের মধ্যে আটকে রাখে। পরে পুলিশসহ স্বজনরা শিশুটিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে অপরহণকারীরা স্বজনদের সঙ্গে অনুসন্ধানে যোগ দেয়। কয়েক দিন ধরে সবাই যখন শিশুটিকে উদ্ধারে ব্যস্ত থাকে, ঠিক সেই ফাঁকে বিরেশের ঘরে আটকে রাখা শিশুটি অনাহারে ২৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে মারা যায়।
পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ২০১৬ সালের ১০ মার্চ আদালতে পাঁচজনকে আসামি করে চার্জশিট প্রদান করলে দীর্ঘ শুনানির পর ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ বিচারক এ রায় প্রদান করেন। এ রায়ে খুশি শিশু আরাধার স্বজন ও আইনজীবীরা।
আপনার মতামত লিখুন :
Leave a Reply
More News Of This Category