শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:০১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রাস্তার কাজ না করে টাকা ভাগাভাগি( সওজ) ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে রূপগঞ্জে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন মাগুরা গোপালগ্রাম ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এ্যাডভোকেট মিথুন রায় চৌধুরী পটুয়াখালী ভার্সিটির, পোস্টগ্রাজুয়েট স্ট্যাডিজ কমিটির সভা।। দুস্থ ও অসহায় মানুষের ভরসা যেন ঝর্ণা মান্নান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট সাপাহারে জোর পূর্বক লক্ষাধিক টাকার মাছ উত্তোলন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায়, মসজিদের ইমামের গরু লুট।। দুমকি উপজেলায়, গরু লুঠ মামলার ২ আসামি আটক শ্রীনগর থানা থেকে যুবদল নেতাকে ছিনিয়ে নিলো বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নওগাঁর মান্দায় ভূমিহীন কৃষকদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
Headline
Wellcome to our website...
সন্তান নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করলেন নিষ্ঠুর মা
/ ২ Time View
আপডেট : রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০, ৬:৩৪ পূর্বাহ্ন

 সন্তান নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করলেন নিষ্ঠুর মা

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া এক নবজাতককে বিক্রি করে দিয়েছেন এক প্রসূতি মা। ব্র্যাকের স্থানীয় এক স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি ছেলেসন্তান বিক্রি করেন। স্বামীর সহযোগিতায় সন্তান বিক্রির এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার নতিডাঙ্গা আবাসনে।

পাশের গোয়ালবাড়ি গ্রামের নিঃসন্তান এক দম্পতির কাছে সন্তান বিক্রি করেন মিনারা খাতুন। এর আগেও ওই নারী তার আরেক সন্তানকে বিক্রি এবং এক সন্তানকে হত্যা করে পুঁতে রাখেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বুধবার দুপুরে সন্তান বিক্রির ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের নতিডাঙ্গা আবাসনের ৪ নম্বর শেডের ৫ নম্বর কক্ষে বসবাস করেন খাইরুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী মিনারা খাতুন (৩২)। আর প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী নতিডাঙ্গা গ্রামে থাকেন খাইরুল ইসলাম। বুধবার ভোরে প্রসব বেদনা উঠলে উপজেলা ব্র্যাক সংস্থার সেবিকা হেনা খাতুন ও আবাসনের বাসিন্দা বারেক আলীর স্ত্রী আমেলা খাতুনের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন মিনারা। সকাল ৮টার দিকে ছেলেসন্তান প্রসব করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই মিনারা খাতুন তার সন্তান ব্র্যাকের সেবিকা হেনা খাতুনের হাতে তুলে দেন।
মিনারা খাতুন বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা শুনে ৮ মাস আগে আমাকে রেখে আমার স্বামী চলে যায়। এখানে (আবাসনে) আর আসে না। মাঝে মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা হয়। কন্যাসন্তান হলেই আমার স্বামী আমাকে মেনে নেবে বলে জানায়। কিন্তু আমার ছেলে হওয়ায় আমি সন্তান দিয়ে দিয়েছি।’
নবজাতকের বাবা খাইরুল ইসলাম বলেন, আমার দুই সংসারে প্রথম স্ত্রীর ৩ ছেলে। দ্বিতীয় স্ত্রীরও এক ছেলে আছে। আমি আর ছেলে সন্তান নিতে চাই না। তবে, আমার সন্তানকে বিক্রি করা হয়েছে কিনা আমি জানি না।’
আলমডাঙ্গা উপজেলা ব্র্যাক সংস্থার সেবিকা হেনা খাতুন বলেন, মোবাইল ফোনে আমাকে ডেকে নেয়ার কারণে তাদের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ছেলে সন্তান হওয়ার পর মিনারা তার সন্তানকে অন্য কারও কাছে দিয়ে দিতে বলেন। পরে আমি পার্শ্ববর্তী গোয়ালবাড়ি গ্রামের মনোয়ার হোসেনের স্ত্রী নিঃসন্তান বুলবুলি খাতুনের কাছে ওই সন্তান দিয়েছি।
এ বিষয়ে আবাসন পরিচালনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদার খাঁ অভিযোগ করে বলেন, ‘বছর দুয়েক আগেও ছেলেসন্তান প্রসব করেন খাইরুল ইসলামের স্ত্রী মিনারা খাতুন। সেই সন্তান তারা হত্যা করে নদীর পাশে পুঁতে রাখে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে সেখান থেকে মরদেহ তুলে গ্রামের কবরস্থানে নিয়ে একাই দাফন করেন খাইরুল ইসলাম।
আবাসনের কাশেম আলী বলেন, মিনারা খাতুন বছর চারেক আগে তার প্রথম সন্তান ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে কুষ্টিয়া এলাকায় বিক্রি করে।
স্থানীয় বাড়াদী ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, এলাকার লোকজনের মুখে শুনছি মিনারা খাতুন সন্তান জন্ম দেয় আর বিক্রি করে। আইন অনুযায়ি তার বিচার হওয়া দরকার।
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লিটন আলী বলেন ‘বিষয়টা আমার জানা ছিল না। ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিচ্ছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page