যুবলীগের
পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন যে কোনো সময়

কুমিল্লা দক্ষিণ প্রতিনিধিঃ-

যে কোনো সময় অনুমোদন দেয়া হবে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি।
এরই মধ্যে কয়েক দফায় পদ-প্রত্যাশীদের বায়োডাটা যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করেছেন
সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতারা। দলের প্রতি আনুগত্য এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে
সংগঠনটিতে পদ দেয়া হবে।
যুবলীগের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির তালিকা
এরই মধ্যে আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি নির্দেশনা
দিলেই কমিটির চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হবে।

যুবলীগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, মূল দল আওয়ামী লীগ থেকে যুবলীগের
পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়ার পর ছোট আকারে কমিটি জমা
দেয়া হয়। তবে সেই খসড়া তালিকা ফেরত পাঠানো হয়। পরবর্তীতে কমিটির আকার
বাড়িয়ে পূনরায় খসড়া জমা দেন সংগঠনটির দায়িত্বশীল নেতারা।

গত বছরের ২৩নভেম্বর যুবলীগের সর্বশেষ কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনের
মাধ্যমে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ
চেয়ারম্যান এবং তৎকালীন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন
খান নিখিল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

সম্মেলনের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা থাকলেও
বিশ্বব্যাপী মহামারী পরিস্থিতির কারণে সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে
পড়ে।পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পর সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করে সংগঠনটি।
তারই ধারাবাহিকতায় পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া তালিকার কাজ সম্পন্ন করে সংগঠনের
দায়িত্বশীল নেতারা।

আসন্ন যুবলীগের কমিটি ১৭১সদস্য বিশিষ্ট করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, অতীতের যে কোনো
সময়ের তুলনায় এবার যুবলীগের কমিটিতে চমক থাকবে। দেশব্যাপী জনপ্রিয় এমন বেশ
কয়েকজনকে দেখা যাবে। সাবেক ছাত্রলীগ ছাড়াও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অধিকারী
যুবলীগের সাবেক নেতাদের প্রাধান্য থাকবে যুবলীগের কমিটিতে।

এদিকে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেয়ার নির্দেশনার পর থেকে
পদপ্রত্যাশীদের দৌঁড়ঝাপ বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও আওয়ামী লীগ সভাপতি
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে পদ প্রত্যাশীদের ভীড় বাড়তে থাকে। এছাড়াও
দায়িত্বশীল নেতাদের অফিস কিংবা বাসায় যেতে থাকেন কেউ কেউ। নেতাকর্মীদের
কার্যক্রমে উৎসাহ যোগাতে নিয়মিত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাচ্ছেন সভাপতি ও
সাধারন সম্পাদক।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে পদ প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে যুবলীগ
চেয়ারম্যান বলেন, কোনো বানিজ্যের মাধ্যমে এই কমিটি পদ পদবী দেবে না। সুতরাং
যারা ত্যাগী,বঞ্চিত এবং যোগ্য তাদেরকে পদ পদবী দেয়া হবে। যারা দলের
দুর্দিনে রাজপথে ছিলেন তাদের সিভি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখে যোগ্যতা অনুযায়ী
প্রাপ্য পদ দেয়া হবে।

কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন প্রসঙ্গে যুবলীগের সাধারন সম্পাদক
মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন আমাদের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চুড়ান্ত হয়েছে।
নেত্রী নির্দেশনা দিলেই অনুমোদন দেয়া হবে। এবারের কমিটির আকার কিছুটা বাড়তে
পারে। কমিটিতে সাবেক যুবলীগ নেতাদের পাশাপাশি সাবেক ছাত্রনেতাদেরও
প্রাধান্য থাকবে।।