সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রাস্তার কাজ না করে টাকা ভাগাভাগি( সওজ) ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে রূপগঞ্জে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন মাগুরা গোপালগ্রাম ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এ্যাডভোকেট মিথুন রায় চৌধুরী পটুয়াখালী ভার্সিটির, পোস্টগ্রাজুয়েট স্ট্যাডিজ কমিটির সভা।। দুস্থ ও অসহায় মানুষের ভরসা যেন ঝর্ণা মান্নান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট সাপাহারে জোর পূর্বক লক্ষাধিক টাকার মাছ উত্তোলন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায়, মসজিদের ইমামের গরু লুট।। দুমকি উপজেলায়, গরু লুঠ মামলার ২ আসামি আটক শ্রীনগর থানা থেকে যুবদল নেতাকে ছিনিয়ে নিলো বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নওগাঁর মান্দায় ভূমিহীন কৃষকদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
Headline
Wellcome to our website...
মার্কিন প্রেসিড নির্বাচনে ফলাফলের অপেক্ষা সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে বাইডেন
/ ২ Time View
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০, ৫:৩৫ পূর্বাহ্ন

মার্কিন প্রেসিড নির্বাচনে ফলাফলের অপেক্ষা সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে বাইডেন

 ০৫ নবেম্বর ২০২০ 

সর্বশেষ ফলাফল : বাইডেন ২৩৮,  ট্রাম্প ২১৩
বিজয়ের জন্য দরকার ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোট

স্টাফ রিপোর্টার : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের
ভোটগ্রহণ শেষ। চলছে গণনা। এখন অপেক্ষা শুধু ফলাফল ঘোষণার। তবে ইতোমধ্যেই
বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যে সম্ভাব্য বিজয়ী কে হচ্ছেন সেই ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।
মার্কিন নির্বাচন মূলত ইলেক্টোরাল ভোটের উপরই নির্ভর করে। ইলেক্টোরাল ভোটই
বলে দেবে কে যাচ্ছেন হোয়াইট হাউজে। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন
এপর্যন্ত ২৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট জিতে এগিয়ে রয়েছেন। শুরুর দিকে ডোনাল্ড
ট্রাম্পের চেয়ে বেশ বড় ব্যবধানেই এগিয়ে ছিলেন বাইডেন। তবে সময়ের সঙ্গে সেই
দূরত্ব কমিয়ে এনেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী। বর্তমানে তার ঝুড়িতে রয়েছে
২১৩টি ইলেক্টোরাল ভোট। মোট ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা ৫৩৮, জিততে হলে প্রয়োজন
২৭০টি ভোট। এবার মার্কিন নির্বাচন ফলাফল ঘিরে আইনি লড়াইয়ের সম্ভাবনা তীব্র
হচ্ছে। ট্রাম্পকে সুপ্রিম কোর্টে মোকাবিলায় প্রস্তুত বাইডেনের আইনজীবীরাও।
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের দখল নিতে প্রয়োজন হয় ৫১টি আসন।
বর্তমানে সিনেটে ৫৩-৪৭ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে রিপাবলিকানদের। তবে এবারের
নির্বাচনে এখন পর্যন্ত দুই পক্ষই ৪৭টিতে জয় পেয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
যদিও ভোট গণনা শেষ হয়নি ৯টি অঙ্গরাজ্যে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
নির্বাচনের চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিক ফল পেতে কয়েকদিন কিংবা কয়েক সপ্তাহ লেগে
যায়। আর সেকারণে নির্বাচনে কে জয়ী হতে যাচ্ছে তা বোঝার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের
মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া অঙ্গরাজ্যভিত্তিক আভাস ও জরিপের ওপর নির্ভর
করতে হয়। তবে সমস্যা হয় দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য বা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের
এলাকাগুলোতে। হোয়াইট হাউজের পরবর্তী কাণ্ডারী কে হচ্ছেন তা মাত্র কয়েকটি
অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফলাফলে নির্ভর করছে। এগুলো হলো- অ্যারিজোনা, জর্জিয়া,
উইসকনসিন, মিশিগান ও পেনসিলভানিয়া। অবশ্য এবারের নির্বাচনে শুধু প্রত্যক্ষ
ভোটেই বিজয়ী নির্ধারণ হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট কে হবেন
তা নির্ধারণে এবছর ১০ কোটির বেশি মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন। ফলে ট্রাম্প না
বাইডেন- হোয়াইট হাউসের দখল কার হাতে যাচ্ছে তা জানতে অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।
প্রভাবশালী
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট
নির্বাচনের অন্যতম ব্যাটলগ্রাউন্ড পেনসিলভানিয়াসহ এখনও অন্তত সাতটি
অঙ্গরাজ্যের ফলাফল আসতে বাকি। সেগুলোর মধ্যে অন্তত পাঁচটিতেই এগিয়ে
ট্রাম্প। জো বাইডেন এগিয়ে নেভাদা ও উইসকনসিনে। এ দু’টি অঙ্গরাজ্যে
ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে যথাক্রমে ছয় ও ১০টি। ফলে এসব জায়গায় জয় পেলে
ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর ঝুড়িতে জমা হবে মোট ২৫৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট।
বিপরীতে ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, নর্থ
ক্যারোলিনা, জর্জিয়া ও আলাস্কায়। এগুলোর মধ্যে পেনসিলভানিয়ায় ইলেকটোরাল ভোট
রয়েছে ২০টি, মিশিগানে ১৬, নর্থ ক্যারোলিনায় ১৫, জর্জিয়ায় ১৬ ও আলাস্কায়
তিনটি। ফলে এ পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প জিতলে তার ইলেকটোরাল ভোট হবে মোট
২৮৩টি। অর্থাৎ নির্বাচনে জিততে প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট সহজেই ছাড়িয়ে
যাওয়ার পথে তিনি।
নয়টি রাজ্যে ফল এখনও অনিশ্চিত: এই নয়টি রাজ্যের যে
কয়টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে, আলাস্কা ৩, অ্যারিজোনা ১১, জর্জিয়া ১৬, মেইন -৪,
মিশিগান- ১৬, নেভাডা- ৬, নর্থ ক্যারোলাইনা ১৫, পেনসিলভেনিয়া ২০, উইসকনসিন
১০। ফ্লোরিডায় খুঁটি ধরে রাখলেন ট্রাম্প। ফ্লোরিডায় প্রায় সব ভোট গণনা শেষ।
সেখানে লড়াই হয়েছে প্রায় সমানে সমানে। কিন্তু রাজ্যের নির্বাচকমণ্ডলী বা
ইলেক্টোররা জানিয়ে দিয়েছেন তারা ওই রাজ্যের ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটগুলো মি.
ট্রাম্পকে দিতে যাচ্ছেন। সেখানে মি. ট্রাম্প পেয়েছেন ৫১% ভোট আর মি. বাইডেন
পেয়েছেন ৪৮% ভোট।
সিনেটে সমান, হাউসে এগিয়ে ডেমোক্র্যাটরা:
যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো সিনেট ও হাউস অব
রিপ্রেজেন্টেটিভসের (প্রতিনিধি পরিষদ) নির্বাচনও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেউ
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও সিনেট ও হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে
গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্তই আটকে যেতে পারে। মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ
সিনেটের দখল নিতে প্রয়োজন হয় ৫১টি আসন। বর্তমানে সিনেটে ৫৩-৪৭
সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে রিপাবলিকানদের। তবে এবারের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত দুই
পক্ষই ৪৭টিতে জয় পেয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান
অনুসারে, কোনও প্রস্তাবনাকে আইন হতে হলে সেটি সিনেট ও হাউস দুই জায়গাতেই
অনুমোদন পেয়ে আসতে হবে। তবে সিনেটের ক্ষমতা ও দায়িত্ব কিছুটা বেশি। যেমন-
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে তাদের হাতে। প্রতিপক্ষের
সংখ্যাগরিষ্ঠতা ঠেকাতে দুই দলেরই প্রয়োজন আরও অন্তত তিনটি আসন। আর বিরোধী
দলের প্রেসিডেন্ট হলেও তাকে মোকাবিলায় অন্তত চারটি আসনে জিততে হবে
দলগুলোকে। যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ জন সিনেটরের মেয়াদ থাকে সাধারণত ছয় বছর করে।
তবে প্রতি দুই বছর পরপর এক-তৃতীয়াংশ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবছর
দেশটিতে নির্বাচন হচ্ছে সিনেটের ৩৫টি আসনে। এদিকে, কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ
হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে আসন রয়েছে মোট ৪৩৫টি। সেখানে বর্তমানে
ডেমোক্র্যাটরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। আর এই আধিপত্য ধরে রাখতে তাদের প্রয়োজন ২১৮টি
আসন। দ্য গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, এবারের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা এখন
পর্যন্ত জয় পেয়েছে ১৮৮টি আসনে। আর রিপাবলিকানদের জয় ১৮১টিতে।
নির্বাচনী
ফলাফল নিয়ে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি: যে দুঃস্বপ্নের পরিস্থিতির আশঙ্কা
অনেকে করছিলেন, সেটিই এখন বাস্তবের দিকে এগুচ্ছে। জো বাইডেন বলেছেন তিনি
জয়ের পথে আছেন আর ডোনাল্ড ট্রাম্প কোন প্রমাণ ছাড়াই ভোট চুরি আর প্রতারণার
অভিযোগ তুলেছেন। এভাবে চললে শেষপর্যন্ত ফলাফল আদালতে গড়াতে পারে এবং পরাজিত
প্রার্থীর সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ভোট গণনা
ঠেকাতে রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সুপ্রিম
কোর্টে যাওয়ার হুমকি দেয়ার পর ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রচার শিবির আইনজীবীদের
একটি দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে। যদিও চূড়ান্ত ফল আসেনি, কিন্তু
এটি পরিষ্কার যে নির্বাচনের পরও যুক্তরাষ্ট্র এখনো একটি চরম বিভক্ত জাতি
হিসেবেই থাকছে। আমেরিকান ভোটাররা একদিকে মিস্টার ট্রাম্পকে শক্তভাবে
প্রত্যাখ্যানও করেননি, আবার তার আশানুযায়ী ব্যাপক কোন সমর্থনও তিনি পাননি।
এই নির্বাচনে যেই জয়ী হোন না কেন, রাজনৈতিক যুদ্ধ চলতেই থাকবে। অনেক রাজ্যে
এখনো ভোট গণনা চলছে এবং অনেকগুলো সুইং স্টেটে এখনো ফল ঘোষণা করা হয়নি।
যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন- দুজনই
দাবি করেছেন যে তারা জয়ের পথে আছেন।
ফক্স নিউজের প্রজেকশন বলছে,
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে মোট ১৩টি রাজ্যকে সুইং স্টেট হিসেবে বিবেচনা করা
হয়। এগুলো হচ্ছে অ্যারিজোনা, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, আইওয়া, মিশিগান, মিনেসোটা,
নিউ হ্যাম্পশায়ার, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলিনা, ওহাইও, পেনসিলভানিয়া,
উইসকনসিন ও টেক্সাস। সুইং স্টেট ১৩টি হলেও এর মধ্যে ফ্লোরিডার বিশেষ
গুরুত্ব রয়েছে। রাজ্যটিতে মোট ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা ২৯। সাধারণত এ
রাজ্যে যিনি জয়ী হন; তিনিই হোয়াইট হাউসে জায়গা করে নেন। যুক্তরাষ্ট্রের
ইতিহাসে মাত্র দুই বার এ রাজ্যে বিজয়ী প্রার্থী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে
পারেননি। বাদবাকি প্রতিবারই ফ্লোরিডায় জয় মানে যেন ছিল হোয়াইট হাউসে নিজের
আসন নিশ্চিত করা।
জরিপ অনুযায়ী পপুলার ভোটে এতক্ষণ ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও
এবার বাইডেন তাকে পেছনে ফেলেছেন। বাইডেন ৬,৬৮,৭৪,৪২৮ ভোট পেয়েছেন, আর
ট্রাম্প পেয়েছেন ৬,৫২,৩৭,৬০৪ ভোট। উল্লেখ্য, ফলাফল নির্ধারিত হবে ইলেক্টরাল
ভোটে। এখনো গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের ফলাফল আসেনি। যাদের মধ্যে
রয়েছে- মিশিগান, উইসকনসিন ও পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা,
নেভাদা ও আলাস্কা। মূলত এসব অঙ্গরাজ্য থেকেই নির্ধারিত হবে কে যাচ্ছেন
হোয়াইট হাউজে।
প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের তথ্যমতে,
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অন্যতম ব্যাটলগ্রাউন্ড পেনসিলভানিয়াসহ
এখনও অন্তত সাতটি অঙ্গরাজ্যের ফলাফল আসতে বাকি। সেগুলোর মধ্যে অন্তত
পাঁচটিতেই এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। জো বাইডেন এগিয়ে রয়েছেন নেভাদা ও
উইসকনসিনে। এ দু’টি অঙ্গরাজ্যে ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে যথাক্রমে ছয় ও ১০টি।
ফলে এসব জায়গায় জয় পেলে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর ঝুড়িতে জমা হবে মোট ২৫৪টি
ইলেকটোরাল কলেজ ভোট।
নির্বাচনের রাতে এক টুইট বার্তায় ডেমোক্র্যাটিক
পার্টির বিরুদ্ধে ভোট চুরির চেষ্টার অভিযোগ করেছেন রিপাবলিকান দলীয়
প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বুধবার রাতে টুইটারে মার্কিন এই
প্রেসিডেন্ট তার কাছ থেকে নির্বাচন ছিনিয়ে নিতে ডেমোক্র্যাট শিবির চুরির
চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন। নিজের জয়ের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করে
ট্রাম্প লিখেছেন, দ্বিতীয় মেয়াদে আরও চার বছরের জন্য তিনি জয় পাবেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, কোনও ধরনের প্রমাণ ছাড়া ডেমোক্র্যাটিক পার্টির
বিরুদ্ধে নির্বাচনে চুরির চেষ্টার অভিযোগও একই টুইটে করেছেন তিনি।
টুইটে
ট্রাম্প বলেছেন, আমরা বিশাল জয়ের আশা করছি। কিন্তু তারা নির্বাচন চুরির
চেষ্টা করছেন। আমরা কখনই এটা করতে দেব না। আরেক টুইটে তিনি বলেন,
পুনর্র্নিবাচিত হওয়ার জন্য ‘বিশাল জয়’। মার্কিন এই নির্বাচনে জয়ের
সম্ভাবনার ব্যাপারে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেন এক বিবৃতি দেয়ার
পরপরই নির্বাচন চুরির চেষ্টার অভিযোগ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও টুইটার
কর্তৃপক্ষ ভোটের সঠিক তথ্য জানতে এবং বিভ্রান্তি এড়াতে ট্রাম্পের টুইটের
নিচে লেবেল সাঁটিয়ে দিয়েছে। নিজ এলাকা ডেলাওয়ারে ভোটের ফলের অপেক্ষায় মাঠে
থাকা ভোটারদের সামনে হাজির হয়ে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন জো বাইডেন।
তিনি বলেছেন, আমরা জানতাম এটা দীর্ঘায়িত হতে যাচ্ছে। আমরা জানতাম, আমাদের
সকাল পর্যন্ত হয়তো অপেক্ষা করতে হবে। এমনকি আরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে
হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, ভোটের ফল প্রকাশ
শুরু হওয়ার পর থেকেই বাইডেনের বিশাল ব্যবধানের আশা শেষ হয়ে গেছে। যিনিই জয়
পাবেন তা হবে খুব কম ব্যবধানে। কিন্তু বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কে এবং কীভাবে
জিতবেন এবং কখন তা জানা যাবে।
ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যে কে জিতবেন?:
অ্যারিজোনাতে বাইডেন এগিয়ে রয়েছেন। এর অর্থ হলো, ২০১৬ সালে তথাকথিত নীল
দেয়াল বলে পরিচিত তিনটি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে দুটিতে জিতে গেলেই
ডেমোাক্র্যাটদের জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে। এই তিনটি অঙ্গরাজ্য হলো, উইসকনসিন,
মিশিগান ও পেনসিলভানিয়া।  উইসকনসিন ছাড়া বাকি দুটিতে পিছিয়ে রয়েছেন বাইডেন।
তবে গণনার বাকি ভোটগুলো তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট বলে মনে
করা হচ্ছে। পেনসিলভানিয়ায় ১৪ লাখ ডাক ভোট গণনা বাকি আছে। সবগুলো ভোট গুনতে
কয়েক দিন লেগে যেতে পারে। মিশিগানের ডেট্রয়েট, উইসকনসিনের মিলওয়াকির মতো বড়
শহরগুলোর খবর এখনও জানা যায়নি। এসব শহরে ডেমোক্র্যাটদের ভোট রয়েছে বেশি।
পোস্টাল
ব্যালট গণনা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিটি ভোট গণনার
ক্ষেত্রে কয়েকদিন লাগলেও সাধারণত পরদিন সকালেই আভাস পাওয়া যায় কে বিজয়ী হতে
যাচ্ছে। তবে এবার তা সম্ভব হচ্ছে না। নির্বাচনী কর্মকর্তারা আগেই বলেছেন,
আগাম ভোটের অংশ হিসেবে পোস্টাল ব্যালট বেশি পড়ায় কে বিজয়ী হচ্ছেন তা জানতে
বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট গণনার ক্ষেত্রে একেক
অঙ্গরাজ্যের নিয়ম একেকরকম। আর তাই ফল ঘোষণার ক্ষেত্রে তারতম্য থাকতে পারে।
কিছু কিছু অঙ্গরাজ্যে ফল পেতে কয়েক সপ্তাহও লেগে যায়। সবশেষ ২০০০ সালে দেখা
গেছে নির্বাচন শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফল সম্পর্কে স্পষ্ট আভাস পাওয়া
যায়নি। এক মাস পর সুপ্রিম কোর্ট রুল জারির পরই জর্জ ডব্লিউ বুশ বিজয়ী বলে
নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল।
এ বছর জরিপ সংস্থা এডিসন রিসার্স-এর কাছ থেকে
তথ্য নিয়েছে বিবিসি। সংস্থাটি বুথফেরত জরিপ করার পাশাপাশি ইউএস নেটওয়ার্ক,
এবিসি, সিবিএস, সিএনএন ও এনবিসি এর সঙ্গে কাজ করেছে। এর ভিত্তিতে বিবিসি
বলছে, এবার রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট পড়ার কারণে এ ধরনের গণনা কঠিন হয়ে পড়েছে।
তাই বিজয়ী কে হচ্ছে তা জানাতে কোনও ধরনের প্রতিযোগিতায় যেতে চায় না তারা।
বিবিসি ও তার সহযোগীরা বিশ্বাস করে, বিজয়ী নিয়ে আভাস দেওয়ার মতো যথেষ্ঠ
তথ্য নেই। সুতরাং তারা তা করবে না। অন্যরা করলেও সে প্রতিযোগিতায় নামবে না
তারা।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page