মাগুরা সদরের হাজিপুর ফুলবাড়ি গ্রামে যৌতুক না পেয়ে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর রাতেই প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের মামা এনামুল হক বলেন, ‘প্রায় পনের মাস আগে সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের নূরালী মোল্যার (৫৮) ছেলে মহব্বত আলী মোল্যার (২৬) সঙ্গে তার ভাগ্নি আছমা খাতুনের (২২) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী মহব্বত আলী আছমা খাতুনকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন। পাঁচ মাস আগে সুদে করে তিন লাখ টাকা নিয়ে জামাইয়ের হাতে তুলে দেন আসমার বাবা। তাতেও নির্যাতন বন্ধ হয়নি স্বামী মহব্বত আলীর। আরও টাকার জন্য নির্যাতন চালায় তারা। তিন মাস আগে নিহতের কোল জুড়ে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এই অবুঝ দুগ্ধপোষ্য শিশুটি যৌতুকের জন্য তার মাকে হারালো বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।নিহতের ভাবি রিনা বেগম জানান, সবশেষ গত শুক্রবার মহব্বত আলীর স্বজনরা আছমা খাতুনের বাড়িতে মোবাইল করে তাদের মেয়ে (আছমা) অসুস্থ বলে জানায়। অসুস্থতার খবর পেয়ে আছমার মা ছায়রা খাতুন মেয়ের বাড়িতে ছুটে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার দোষীদের শাস্তি দাবী করেন তিনি।মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন জানান, ভুক্তভোগীদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রাতেই অভিযুক্ত নিহতের স্বামী মহব্বত আলি ও তার বাবা নুর আলী কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান।