লামার
ফাঁসিখালী ১নং রিপুজী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে চলছে
রমরমা ইয়াবা আসর
মোঃ রনি আহমেদ রাজু ক্রাইম রিপোর্টার
বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ১নং রিপুজী পাড়া সরকারী
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি আব্দুল আল মামুন এর নেতৃত্বে স্কুলের অফিস
কক্ষে চলছে রমরমা ইয়াবা আসর।তথ্য সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন প্রায় ১০/১২ জন
এসে বিদ্যালয় এর অফিস কক্ষে ইয়াবা সেবন করে দিনে ও রাতে। ফাঁসিয়াখালী
ইউনিয়নে ১নং রিপুজী পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রকল্পের মাধ্যমে
চাকরি করা দপ্তরি আব্দুল আল মামুন ফাঁসিখালী ইউনিয়নে হায়দারনাশী (০৬ নং)
ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল মন্নান এর পুত্র বলে জানা যায়।
এলাকার সচেতন মহল জানান, মাদক এমন এক বিষ যা একটি সুন্দর পরিবারকে ধ্বংস
করে দেয়।
বর্তমানে প্রশাসনের চোখের আড়ালে অলিতে গলিতে চলছে মাদক সেবন ও
ইয়াবা ব্যাবসা। এইভাবে সরকারি স্কুল কক্ষে দিন দুপুরে যদি ইয়াবা সেবিদের
আস্তানায় পরিণত হয় তাহলে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে এবং
যে কোন সময় এই মাদকাসক্ত ব্যাক্তিদের কবলে শিশু ধর্ষণ, যুবকদের মাদকাসক্ত
করা সহ নানা রকম অপরাধ হওয়ার আশঙ্কা করেন এলাকাবাসী। লামা উপজেলা প্রশাসনের
কাছে এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবী জানান।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত দপ্তরি আব্দুল আল মামুনের মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি
অভিযোগ শিকার করে বলেন এটি বেশ কিছুদিন আগের ঘটনা। আমার শত্রুরা এই মাদক
সেবনের ভিড়িও করেছে। এই বিষয় নিয়ে কিছুদিন আগে লামা থানায় শিক্ষা অফিসার এর
উপস্থিতে এই রকমের অপকর্মে জড়িত হবে না বলে মুছলেকা দেন বলে জানান
অভিযুক্ত মামুন।
এই বিষয়য়ে ফাঁসিখালী ১নং রিপুজী পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক মোহাম্মদ জাফর আলী সাথে মুটোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে কল রিসিভ
করেননি।এই বিষয়ে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান এর সাথে
মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই রকম ঘটনার বিষয়ে কখনো আমি কোন
মুছলেকা নি নায় কেউ এই বিষয়ে অভিযোগ করলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।এই বিষয়ে
লামা উপজেলা শিক্ষা অফিসার তপন কুমার চৌধুরী সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে
তিনি জানান,কিছুদিন আগে আমি এই বিষয়ে অবগত হয়েছি। কিন্ত মুছলেকা বিষয়ে
কিছু জানি না। অভিযুক্ত মামুন কে ডেকে সর্তক করি। এমন কর্মকাণ্ডের সাথে যেন
আর কখনো জড়িত না হয়। অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।