পাবনা সুগার মিলসহ দেশের ছয়টি চিনিকল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
ঈশ্বরদীতে
অবস্থতি পাবনা সুগার মিলসহ দেশের ছয়টি চিনিকল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পাবনা
সুগার মিলের এমডি সাইফ উদ্দিন আহম্মেদ এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এখনও
কোনো চিঠি পাইনি। তবে কর্পোরেশনের হেড অফিস থেকে মৌখিক ভাবে জানতে পেরেছি
ছয়টি চিনিকল বন্ধের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। মোট ১৫টি চিনিকলের মধ্যে ৯টির
কার্যক্রম চালু থাকবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের চিঠির বরাত দিয়ে
তিনি জানান, চিনি আহরণের হার, আখের জমি, মিলের অবস্থা/দক্ষতা, লোকাসান ও
রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বিবেচনায় চলতি আখ মাড়াই মৌসুমে ১৫টি চিনিকলের মধ্যে
অধিকতর বিবেচনায় ৯টি চিনিকলে উৎপাদন পরিচালনা করা ও অবশিষ্ট ৬টি মিলে আখ
মাড়াই না করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আখ মাড়াই স্থগিতকৃত চিনিকলগুলোর মধ্যে
রয়েছে, পাবনা সুগার মিল, কুষ্টিয়া সুগার মিল,পঞ্চগড় সুগার মিল, শ্যামপুর
সুগার মিল, রংপুর সুগার মিল ও সেতাবগঞ্জ সুগার মিল।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, যেসব মিলে চলতি
মৌসুমে আখ মাড়াই করা হবেনা সেসব এলাকায় উৎপাদিত ও কৃষকের সরবরাহকৃত আখ
নিকটস্থ চালু চিনিকলে পরিবহন করে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। উৎপাদন
স্থগিতকৃত মিল হতে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চালুকৃত মিলে সংযুক্ত/বদলি
পূর্বক সমন্বয় করা হবে।
পরবর্তী মৌসুমে ৬টি চিনিকলের সঙ্গে ফরিদপুর চিনিকল ও রাজশাহী চিনিকলেও আখ মাড়াই স্থগিতের পরিকল্পনা গ্রহণে কথা চিঠিতে বলা হয়েছে।
এব্যাপারে পাবনা চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী
ফেডারেশনের সাজেদুল সভাপতি সাজেদুল ইসলাম শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক
আশরাফুজ্জামান উজ্জল জানান, বুধবার গেট মিটিং ডাকা হয়েছে। এই মিটিং থেকে
সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তীতে আখ চাষী ফেডারেশনসহ ৬টি চিনিকলের নেতৃবৃন্দের
বৃহস্পতিবার ঢাকায় সমবেত হওয়ার কথা রয়েছে। এখন থেকেই বৃহত্তর আন্দোলনের
কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
প্রসঙ্গত ৬টি চিনিকল বন্ধ ঠেকাতে পাঁচ
দফা দাবিতে পাবনা সুগার মিলসহ ৬টি চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষী
ফেডারেশন যৌথভাবে গত কয়েকদিন ধরে চিনিকল এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন
কর্মসুচি পালন করে আসছে। এই সিদ্ধান্তের পর আন্দোলন আরও বেগমান হবে বলে
শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন।
এব্যাপারে বাংলাদেশ খাদ্য ও চিনি শিল্প
করপোরেশনের চেয়ারম্যান সনৎ কুমার সাহার সঙ্গে কয়েকদফা মোবাইলে যোগাযোগ করার
চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।