প্রিন্ট এর তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২৫, ৬:৪০ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ৪, ২০২০, ৫:০৩ এ.এম
উন্নত জীবনের আশায় অন্তত আড়াই হাজার রোহিঙ্গা যাত্রা করেছে ভাসানচরে নতুন আশ্রয় কেন্দ্রে
উন্নত জীবনের আশায় অন্তত আড়াই হাজার রোহিঙ্গা যাত্রা করেছে ভাসানচরে নতুন আশ্রয় কেন্দ্রে
জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নানা শর্তের বেড়াজালের মাঝেও উন্নত জীবনের আশায় অন্তত আড়াই হাজার রোহিঙ্গা যাত্রা করেছে ভাসানচরে নতুন আশ্রয় কেন্দ্রে। শিক্ষাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে সরকারের আশ্বাসে ভাসানচরে যেতে রাজি হয় তারা।
রোহিঙ্গারা বলেন, আমরা ইচ্ছা করেই যাচ্ছি। জোর করে কি আমাদের নিতে পারবে? আমরা যেতে চাই। ক্যাম্পে অনেক গাদাগাদি করে থাকতে হয়। এটা অশান্তি লাগে। ভালো থাকার জন্যই খুশি হয়ে সেখানে যাচ্ছি।
২০১৭ সালের আগস্টে নিজ দেশ ছেড়ে আসার পর নানা সমস্যায় জর্জরিত রোহিঙ্গারা। টেকনাফ-উখিয়ার পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাস করছে ১২ লাখের বেশি জনগোষ্ঠী। তাই একটু ভালো থাকার আশায় সব ধরনের চাপ এবং বিধি নিষেধ ডিঙিয়ে ভাসানচরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রোহিঙ্গারা।
ইতোমধ্যেই ভাসানচরে সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবন ধারণের জন্য সব ব্যবস্থা। তাতেই অনুপ্রাণিত রোহিঙ্গারা।
তারা বলেন, গেলে ভালোই হবে। আমি ও আমার ভাইবোন লেখাপড়া শিখতে পারবো। আমাদের কাছে জায়গাটা ভালো লেগেছে। তাই খুব খুশি হয়েই সেখানে যাচ্ছি।
রোহিঙ্গাদের এই অংশটির ভাসানচর যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী'ও নিয়েছে নানা ব্যবস্থা।
প্রাণভয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা অন্তত দেড় লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে সরিয়ে নিতে বিপুল পরিমাণ আবাসন গড়ে তুলেছে সরকার। কিন্তু তাতে নানা শর্ত জুড়ে দিয়ে বাধা হয়ে দাঁড়ায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। তবে সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে রোহিঙ্গারা স্বপ্রণোদিত হয়েই ভাসানচরে যাচ্ছে।
শিক্ষাতথ্য টিভি