মোঃ রনি আহমেদ রাজু ক্রাইম রিপোর্টার

রাত ২টা ১৫মিনিটের দিকে পাঞ্জাবি-পায়জামা পরিহিত দুই মাদরাসা ছাত্র পায়ে হেঁটে, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যস্থলে আসেন।

কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ওই ভাস্কর্যের পাশে মই থাকা মই বেয়ে উপরে ওঠে এবং পিঠে থাকা ব্যাগ থেকে হাতুড়ি বের করে প্রথমে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের হাতের উঁচু তর্জনীতে আঘাত করে। হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে প্রথমে হাত ও পরে মুখের বিভিন্ন অংশে ভাঙচুর করে। প্রায় নয় থেকে দশ মিনিট পর মই দিয়ে নেমে পায়ে হেঁটে চলে যান তারা। ডিবি পুলিশ ওই দুই মাদরাসা ছাত্রসহ মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি
ড. মহিদউদ্দিন এর প্রেস বিফ্রিং থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার (০৬ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের সম্মেলন কক্ষে তিনি এই প্রেস বিফ্রিং করে।এসময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে আরও বলেন, বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রথমে দুই ভাই মাদরাসা ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তারা ভিডিও দেখে ভাস্কর্য ভাঙা দুইজনকে চিনতে পারেন। তার দেওয়া তথ্যেও ভিত্তিতে গেল রাতভর অভিযান চালিয়ে ভারত সীমান্তের দৌলতপুরের ফিলিপনগর গোলাবাড়ি গ্রাম থেকে সামছুল আলম এর ছেলে সবুজ ইসলাম নাহিদ (২০) ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর থেকে সমসের মৃধার ছেলে আবু বক্কর মিঠুনকে (১৯) গ্রেপ্তার করে। এরা কুষ্টিয়া শহরের জুগিয়া পশ্চিমপাড়ার ইবনে মাসউদ মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।পরবর্তীতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় একই মাদরাসার দুই শিক্ষক তাদেরকে পালাতে ও সাহস জুগিয়ে সহযোগিতা করেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিক্ষক আল আমিন (২৭) ও ইউসুফ আলীকে (২৬) গ্রেপ্তার করে। আল আমিন মিরপুরের ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ও ইউসুফ আলী পাবনা জেলার আমিনপুর থানার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মন্ডলের ছেলে।ডিআইজি কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এই ঘটনায় পুরো দেশ যেমন ব্যথিত হয়েছে আমরাও তাই। এর পেছনে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা তদন্ত করে বের করা হবে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া হয়েছে।