গত
২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ২০ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে
সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেলেন সাত হাজার ৩৯৮ জন। আজ
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য
জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একইসময়ে নতুন করে শনাক্ত
হয়েছেন এক হাজার ১৬৩ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন পাঁচ লাখ সাত হাজার ২৬৫
জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ১১৩ জন, এখন পর্যন্ত
সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৪৮ হাজার ৮০৩ জন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,
দেশে বর্তমানে ১১৪টি আরটি-পিসিআর, ২০টি জিন-এক্সপার্ট মেশিন এবং ২৯টি
র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষাগারসহ মোট ১৬৩টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা
পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৫১০টি,
নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৬৯৫টি। দেশে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা
পরীক্ষা করা হয়েছে ৩১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৪৮টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থপনায়
পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ লাখ দুই হাজার ৩৬৬টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থপনায়
পরীক্ষা করা হয়েছে ছয় লাখ ৪৬ হাজার ৯৮২টি।
সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার আট দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং
এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১১ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায়
সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৪৬
শতাংশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মারা যাওয়া ২০ জনের মধ্যে
পুরুষ ১৪ জন, নারী ছয়জন। এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে পুরুষ মারা গেলেন পাঁচ
হাজার ৬৩৬ জন, নারী মারা গেছেন এক হাজার ৭৬২ জন। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৭৬
দশমিক ১৮ শতাংশ, আর নারী ২৩ দশমিক ৮২ শতাংশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও
জানানো হয়, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০
বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চার জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের
মধ্যে একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ১৯ জন এবং বাড়িতে মারা
গেছেন একজন। মারা যাওয়া ২০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১২ জন,
চট্টগ্রাম বিভাগে তিন জন, খুলনা ও রংপুর বিভাগে দুই জন করে এবং ময়মনসিংহ
বিভাগে রয়েছেন একজন।
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের
প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে ৪ লাখ পেরিয়ে যায় ২৪
নভেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা
এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ
দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১২ ডিসেম্বর তা
সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর
জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।