মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস বলেছেন, ‘আমি ভিক্ষুক হয়ে ভোট নিয়েছি, ভিক্ষুক হয়েই থাকব। অতীতে অনেককে দেখেছি তাঁরা ভিক্ষুক হয়ে ভোট নিয়ে মালিক হয়ে গেছেন। কিন্তু আমি সব সময় আপনাদের সেবক হয়েই থাকব।’ আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভা চত্বরে আয়োজিত মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ওই অনুষ্ঠানে সাবেক মেয়র শেখ মাহাতাব আলীর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝে নেন অমিতাভ বোস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে পৌরবাসীর বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। পৌরসভায় এসে প্রতিটি নাগরিক তাঁদের মনের কথা যেন স্পষ্টভাবে বলতে পারেন, তা নিশ্চিত করা হবে। আমার নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল, আমি ঘুষ–দুর্নীতিমুক্ত থাকব। আপনাদের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলব না। আমি এমন কাজ করব না যাতে একদিন যে ব্যক্তিকে আপনারা বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছিলেন, সেই ব্যক্তিকেই আবার আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করতে হয়।’
নিজের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি নবনির্বাচিত মেয়র পৌরবাসীকে সুনাগরিক হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা আপনার বাড়ির সামনের জায়গা অপরিচ্ছন্ন রাখবেন না, বাড়ির সামনের নর্দমা বন্ধ করবেন না। তাহলে পৌরসভার পক্ষে সব পরিষ্কার রাখা সম্ভব হবে না। নিজেদের পরিবেশ রক্ষায় নিজেকেই ভূমিকা রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিদায়ী মেয়র শেখ মাহাতাব আলী বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহজাহান মিয়া। দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভী মাসুদ প্রমুখ। নির্বাচিত কাউন্সিলরদের মধ্যে বক্তব্য দেন হেলেনা খানম, কুদ্দুসুর রহমান ও নজরুল ইসলাম মৃধা। পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষে বক্তব্য দেন নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুল আলম খান, সচিব তানজিলুর রহমান ও কর্মচারী ফরহাদ হোসেন।
দীর্ঘ ১১ বছর পর গত ১০ ডিসেম্বর ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক অমিতাভ বোস আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হন। দায়িত্ব গ্রহণের দিন হিসেবে তিনি ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকেই বেছে নেন।