স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার : মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের কাওড়া গ্রামে প্রতিবেশী দ্বারা নাবালিকা মেয়ে জোরপূর্বক দাদা বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। ঘটনার বিবরণী ৯ মার্চ মঙ্গলবার কাওড়া গ্রামের লামিয়া সুলতানা উম্মি (১৫), পিং- শাহীন আলমের মাতৃহারা মেয়ে। সে গোপীনাথপুর এম.এ. খালেক স্কুল এন্ড কলেজের বাণিজ্য শাখার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
লামিয়ার দাদা মোঃ আখতার হোসেন জানান গত মার্চ মাসের ৯ তারিখে আনুমানিক সকাল ৮.৩০ মিনিটের সময় (ভিকটিম) লামিয়া, কাওড়া গ্রামের মোঃ রাজ্জাক শেখ (২০), পিং- আনিচুর রহমানের, পান্নিস(৪০), পিং- মৃত রোস্তম শেখ, আনিচুর রহমান (৪৮), পিং- মৃত রুস্তম শেখ এবং অপরিচিত কিছু লোকজন লামিয়া উম্মি স্কুল থেকে ভ্যান যোগে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি আশার পথে, মৌলি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে পাকা রাস্তার উপর পৌছালে দূর্বত্তরা গতিরোধ করে। এরপর রাজ্জাক, আনিস ও তাদের সাথে থাকা লোকজন লামিয়াকে জোর পূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। লামিয়ার দাদা ১৯ মার্চ শুক্রবার সকাল ১০ টার সময় মহম্মদপুর থানায় মামলা করতে গেলে থানায় মামলা লয় নাই এবং থানা থেকে আদালতে মামলা করার কথা বলে। এরপর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ০৭/৯(১)/৩০ ধারা মতে মামলা করলে। আদালত মামলাটি এফ, আই, আর হিসেবে গণ্য করে মহম্মদপুর থানা কে নির্দেশ দিলে পুলিশ রাজ্জাকের কাছে থেকে লামিয়াকে উদ্ধার করে ২২ ধারা জবানবন্দি প্রদান করে মোঃ আখতার হোসেনের জিম্মায় প্রদান করে। আসামীর এই অপহরণ মামলায় ১৭ দিন জেল প্রেরণ করে মহামান্য আদালত।
আসামী রাজ্জাক শেখ জেল থেকে এসে ২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৬.৪০ মিনিটের সময় লামিয়াদের বাড়ি লোকজন নিয়ে উপস্থিত হয়। এ সময় রাজ্জাকের সাথে মিরান শেখ (৩৮), পিং- তফসির শেখ, ছাইফুল শেখ (৪৫), পিং- মৃত আফছার শেখ সর্বসাং- কাওড়া, আহাদ সাং- পারভাটপাড়া, সর্বথানা- মহম্মদপুর গণ সহ রামদা, ছ্যান্দা, লোহার রড, ড্যাগার, হাতুড়ি, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি মারাত্মক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র সহ লামিয়াদের বাড়ির উঠানে প্রবেশ করে। এ সময় লামিয়া সুলতানা তার দাদার বসবাস ঘরের দক্ষিণ পোতার টিনের ঘরের বান্দায় বসা ছিল। দূর্বৃত্তরা এ সময় বিদ্যুৎ গতিতে এসে আমাদের সবাই কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে খুন করার হুমকি দেয়। এ সময় রাজ্জাক শেখ লামিয়ার মুখ বেধে ফেলে এবং অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় আক্তার হোসেনের ডাক চিৎকারে লামিয়ার দাদি জাহানারা বেগম বাধা প্রদান করলে টিটো মোল্লা বাঁশের লাঠি পিটাইতে থাকে। এরপর লামিয়ার দাদা ও দাদির ডাক-চিৎকারে আকবার শেখ, পিং- মৃত মোমিন শেখ, বাচ্চু মুন্সী, পিং- আলতাফ মুন্সী সর্ব সাং- কাওড়া দ্রুত ঘটনা স্থানে ছুটিয়া আসিয়া বাধা প্রদান করতে গেলে আসামিদের হাতে থাকা অস্ত্রের মুখে বাধা দিতে সাহস পায় নাই। এসময় রাজ্জাক লামিয়াকে পাজা কোলে নিয়ে টিটো মোল্লার মোটরসাইকেল এ ভিকটিম কে অপহরণ করে নিয়ে যায়। প্রকাশ থাকে যে, আসামীরা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করছে যে লামিয়ার দাদা আকতার হোসেন আদালত হতে মামলা প্রত্যাহার করে না নিলে ভিকটিম কে ফেরত দিবে না। প্রয়োজনে ভিকটিম কে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলবে। এ ব্যাপারে কাওড়া গ্রামের মেম্বার মোঃ তরুণ মিয়া মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি তবে সম্পূর্ণ ভালো করে অবগত নয়। এই অপহরণের বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাসের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন লামিয়ার বয়স এখন ১৬ বছর পূর্ণ হয়নি তাই সে নাবালিকা ও এই মামলা মাগুরা কোর্ট থেকে জামীন করা হয়েছে, তবে আমরা আসামি রাজ্জাক শেখকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করে লামিয়া সুলতানা উম্মিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। এই মামলার তদন্তের ভার দেখছেন এস আই রাজু হোসেন।