শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রাস্তার কাজ না করে টাকা ভাগাভাগি( সওজ) ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে রূপগঞ্জে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন মাগুরা গোপালগ্রাম ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এ্যাডভোকেট মিথুন রায় চৌধুরী পটুয়াখালী ভার্সিটির, পোস্টগ্রাজুয়েট স্ট্যাডিজ কমিটির সভা।। দুস্থ ও অসহায় মানুষের ভরসা যেন ঝর্ণা মান্নান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট সাপাহারে জোর পূর্বক লক্ষাধিক টাকার মাছ উত্তোলন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায়, মসজিদের ইমামের গরু লুট।। দুমকি উপজেলায়, গরু লুঠ মামলার ২ আসামি আটক শ্রীনগর থানা থেকে যুবদল নেতাকে ছিনিয়ে নিলো বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নওগাঁর মান্দায় ভূমিহীন কৃষকদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
Headline
Wellcome to our website...
সামান্য কমলালেবু বিক্রেতা থেকে ৪০০ কোটি রুপির সংস্থার মালিক হয়ে উঠেছেন তিনি।
/ ২ Time View
আপডেট : শনিবার, ১ মে, ২০২১, ৬:৩৯ পূর্বাহ্ন

 

স্টেশনে লেবু বিক্রি থেকে ৪০০ কোটির ব্যবসা,  ৮৫ লাখ রুপির অক্সিজেন দিলেন তিনি

ইনসেটে প্যায়ারে খান

স্টেশনে বসে সারাদিন চার ভাইবোন মিলে কমলালেবু বিক্রি করতেন। পড়াশোনার
কথা কল্পনাতেও আসেনি। আয় যা হত তা দিয়েই সংসারের খরচ চলত। মা-ও দিনভর
ব্যস্ত থাকতেন টুকিটাকি কাজ করে উপার্জন করতে। সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফেরার পথে
ছেলেমেয়েদের স্টেশন থেকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরতেন মা। ওই চার ভাইবোনের
মধ্যে একজন আজ কোটিপতি। সামান্য কমলালেবু বিক্রেতা থেকে ৪০০ কোটি রুপির
সংস্থার মালিক হয়ে উঠেছেন তিনি। 

তার নাম প্যায়ারে খান। শুধু কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে নিজের ব্যাঙ্ক
ব্যালান্স বাড়াননি তিনি, এই মহামারি পরিস্থিতিতে অক্সিজেন দান করে ভারতের
মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাগপুরের বাইরে ও ভেতরে একাধিক হাসপাতালে সাহায্যও
করেছেন।

ইতোমধ্যে ৮৫ লাখ টাকার ৪০০ টন তরল অক্সিজেন দিয়ে সাহায্য করেছেন তিনি। 

প্যায়ারে খানের জন্ম নাগপুরের তাজবাগের বস্তিতে। ১৯৯৫ সাল থেকেই তিনি
নাগপুর রেল স্টেশনের বাইরে কমলালেবুর ঝুড়ি নিয়ে বসতেন। যাতায়াতের পথে
যাত্রীরা তার থেকে কমলালেবু কিনতেন।

১৮ বছর বয়স হলে গাড়ি চালানো শিখে কমলালেবু বিক্রির পাশাপাশি একটি
কুরিয়ার সংস্থায় গাড়ি চালানোর কাজ পান। কিন্তু এই কাজ বেশি দিন করতে
পারেননি তিনি। কারণ, কয়েক দিনের মধ্যেই ওড়িশায় এক গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে
পড়েন তিনি। ফলে ওই সংস্থার কাজ হারান।

পরে একটি অটো নিয়ে চালাতে শুরু করেন। সংগীতের প্রতিও তার ঝোঁক ছিল। তাই
কিবোর্ড বাজাতে শিখেছিলেন। নাগপুর মেলোডি মেকারস নামে একটি ব্যান্ডের
সঙ্গে যুক্তও হয়েছিলেন।

এভাবেই দিন চলছিল তার। কিন্তু মাথায় মাঝে মধ্যেই নড়েচড়ে বসল
ব্যবসায়িক বুদ্ধি। প্রথমে নিজের গানের সরঞ্জাম বেচে এবং টাকা ধার করে একটি
ছোট বাস কেনেন। কিন্তু সে ব্যবসা টেকেনি।

২০০৪ সালে তিনি ট্রাক কেনার মনস্থির করেন। তখন তার বয়স ২৪ বছর। ব্যাংক
থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য কম চেষ্টা করেননি। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি।
নাগপুরের বিশ্ব ব্যাংকের তৎকালীন ম্যানেজার তাকে ফিরিয়ে দেন। 

অবশেষে অন্য একটি ব্যাংক থেকে তিনি ১১ লাখ রুপি ঋণ পান। সেই রুপিতে একটি ট্রাক কেনেন। মাত্র দুই বছরের মধ্যেই ঋণ পরিশোধও করে দেন।

সেই একটি ট্রাক থেকে আজ ১২৫টি ট্রাকের মালিক তিনি। এ ছাড়া আরও ৩ হাজার
ট্রাক ভাড়া নিয়ে চালান তিনি। আসমি রোড ট্রান্সপোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড
নামে সংস্থাও খুলে ফেলেছেন প্যায়ারে। ভারতের ১০টি জায়গায় অফিস রয়েছে তার।
তার সংস্থায় কাজ করেন অন্তত ৫০০ জন। দেশের বাইরেও যাতায়াত করে তার ট্রাক।

কিন্তু কোটি কোটি টাকার মালিক হলেও মাটির কাছাকাছি থাকতেই পছন্দ করেন
প্যায়ারে। সাহায্য করার চেষ্টা করেন দুঃস্থদের। ভারতজুড়ে করোনা রোগীদের
জন্য অক্সিজেন সংকট দেখে চোখ বুজে থাকতে পারেননি তিনি। ইতোমধ্যেই ৮৫ লাখ
রুপির অক্সিজেন পৌঁছে দিয়েছেন। বিনা ভাড়ায় গাড়ি পরিষেবাও দিয়ে চলেছেন
তিনি।

সূত্র: আনন্দবাজার

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page