ওই গৃহবধূ ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার জিএম হাট ইউনিয়নের শরিফপুর গ্রামের প্রবাসী মো. আলম পাটোয়ারীর স্ত্রী। সালমা আক্তারের দেবর মো. আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা এর আগে দুজন সন্তানের কথা চিকিৎসক ও আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছিলেন। আজ দুপুরের দিকে তাঁর ভাবির প্রসবব্যথা শুরু হলে তাঁকে শহরের হায়দার ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্লিনিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁর অবস্থা দেখেই অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। বিকেল চারটার দিকে চিকিৎসক তাহমিনা সুলতানা নিলু অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চারটি নবজাতক বের করে আনেন।বিকেল চারটার দিকে চিকিৎসক তাহমিনা সুলতানা নিলু অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চারটি নবজাতক বের করে আনেন।আনোয়ার আরও জানান, ‘এর আগে ভাই-ভাবির ৪ বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। একসঙ্গে ৪টি মেয়েসন্তান পেয়ে আমরা পরিবারের সবাই খুশি হয়েছি। আমাদের যৌথ পরিবারে ৪ সন্তানের লালন পালনে কোনো সমস্যা হবে না।’হায়দার ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক নুরুল আফসার ফোরকান বলেন, ‘ওই গৃহবধূর চার সন্তান জন্ম দেওয়ার খবরটি শোনার পর স্থানীয় সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন। আমরা নবজাতক ও তাদের মাকে একটি কেবিনে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’অস্ত্রোপচারের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তাহমিনা সুলতানা নিলু প্রথম আলোকে বলেন, ওই গৃহবধূ এবং তাঁর চার নবজাতককে প্রাথমিকভাবে সুস্থ দেখা যাচ্ছে। তাঁদের আরও পর্যবেক্ষণ শেষে ক্লিনিক থেকে ছাড়া হবে।