করোনা
থেকে মুক্ত হলেও কিডনি, হার্ট, লিভারসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন সাবেক
প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। রাজধানীর এভারকেয়ার
হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ৫৩ দিন পর বাসায় ফেরেন তিনি।
৫৩ দিন পর নিজ বাসা ফিরোজায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
বিএনপি
বলে আসছে, দীর্ঘ চার বছর কোনো চিকিৎসা না হওয়া এবং কারাগারে রাখায়
অনেকগুলো শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের নেত্রী। বর্তমানে ‘খুবই
অসুস্থ’ থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেয়া জরুরি।এজন্য
দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আজ মঙ্গলবার (২২ জুন) সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের
প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের এ সিদ্ধান্ত
জানান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
এ
সময় খালেদা জিয়ার চিকিৎসক বোর্ডের প্রধান ডা. এএফএম সিদ্দিকীর বরাত দিয়ে
তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী জটিলতার কারণে কোনোমতেই ঝুঁকিমুক্ত নন নেত্রী।
লিভারসহ অন্য সমস্যাগুলোর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেয়া প্রয়োজন।এক
প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এতদিন নেত্রীকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি
চেয়েছিল তার পরিবার। এবার দলের পক্ষ থেকে রেজুলেশন করে বিষয়টি বলা হলো। ফলে
এজন্য যা কিছু করা দরকার, সরকারকে সেসব দ্রুততার সাথে করা উচিত। পরবর্তী
পদক্ষেপের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া, ফাইল ছবি
বিএনপির
স্থায়ী কমিটির সভা থেকে খালেদা জিয়ার আরো উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থার
পাশাপাশি তাকে মুক্তি নেয়ার আহবান জানানো হয়। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
তারেক রহমানের সভাপতিত্বে গত ২০ জুনের সভায় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের
সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়।প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল সাবেক
প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। প্রথম কয়েক দিন বাসায়
থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। ১৪ এপ্রিল রাতে সিটি স্ক্যান করার জন্য
খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরে
বাসায় ফিরে গেলেও ২৭ এপ্রিল শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আবারো
পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ওই হাসপাতালে নেয়া হয়। এ দফায় চিকিৎসকদের পরামর্শে
তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।