ডেক্স সংবাদ:
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সাড়ে ৩৬ হাজার নমুন পরীক্ষা করে রেকর্ড ১১ হাজার ৫২৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও ১৬৩ জনের। মৃত ১৬৩ জনের মধ্যে পুরুষ ৯৮ জন এবং ৬৫ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৩৯ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৯১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে পাঁচজন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, গত ২৭ জুন (২০২১) ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ৩০ জুন মারা যান ১১৫ জন। ১ জুলাই সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ২ জুলাই ১৩২ জন মারা যান। ৩ জুলাই ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ৪ জুলাই রোববার ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পর দিনই গত সোমবার ২৪ ঘন্টায় দেশে ১৬৪ জনের রেকর্ড মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৬৩ জন। এছাড়া গত সাতদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ১৪৭ জন। এর মধ্যে গত ২৯ জুন ৭ হাজার ৬৬৬ জন, ৩০ জুন ৮ হাজার ৮২২ জন, ১ জুলাই ৮ হাজার ৩০১ জন, ২ জুলাই ৮ হাজার ৪৮৩ জন, ৩ জুলাই ৬ হাজার ২১৪ জন, ৪ জুলাই ৮ হাজার ৬৬১ জন এবং ৫ জুলাই ৯ হাজার ৯৬৪ জন। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৯ লাখ ৬৬ হাজার ৪০৬ জনে। তাদের মধ্যে ১৫ হাজার ৩৯২ জনের প্রাণ গেছে করোনাভাইরাসে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৬৩ জনের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ৪৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৪ জন, খুলনা বিভাগে ৪৬ জন, বরিশাল বিভাগে ছয়জন, সিলেট বিভাগে দুইজন, রংপুর বিভাগে ১১ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচজন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।