কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আট দিনের জন্য
সর্বাত্মক লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করায় সারাদেশে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে
বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরবুধবার
দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বুলেটিনে এই আশঙ্কার কথা
জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্রলাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ
আমিন।তিনি বলেন, ঈদুল
আযহাকে সামনে রেখে ৮ দিনের জন্য লকডাউনের যে বিধিনিষেথ শিথিল করা হয়েছে,
তাতে সারা দেশে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে চালু হওয়া
গণপরিবহন, শপিংমল ও কোরবানির পশুর হাটে যদি স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মানা না
হয়, তবে সংক্রমণের মাত্রা কমার কোনো সুযোগ থাকবে না।দেশে
করোনাভাইরাসে সংক্রমণের মাত্রা ৩০ শতাংশ রয়েছে জানিয়ে তিনি দেশবাসীকে
সতর্ক করে বলেন, কোরবানির পশুর হাটে মাস্কের ব্যবহার ১০০ ভাগ করা না গেলে
সংক্রমণের মাত্রা আপ্রাণ চেষ্টা করেও কমানো যাবে না। তাই জনে জনে যেন
স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয় সেজন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও
অনুরোধ জানাই।সারা দেশে, বিশেষ করে পার্বত্য
চট্টগ্রামে ম্যালেরিয়া পরিপ্রেক্ষিতে ঈদুল আযহার ছুটিতে রাঙ্গামাটি,
খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এবং কক্সবাজারে ভ্রমণে না যেতে দেশবাসীকে নির্দেশনা
দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রোবেদ
আমিন জানান, গত মে ও জুন মাসে পার্বত্য চট্টগ্রামে ১২১৫ জন ম্যালেরিয়ায়
আক্রান্ত হয়েছেন। তিন জেলায় বছরের শুরু থেকে পাঁচ শতাধিক মানুষ ম্যালেরিয়ায়
আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গত ১৩ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে ৪৭৩ জন ডেঙ্গু
রোগী পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে অনেক রোগীকে আইসিইউতে নিতে হচ্ছে বলে জানান
রোবেদ আমিন। তিনি জানান, ঢাকার হলি ফ্যামিলি, স্কয়ার, আদ দ্বীন ও ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
করোনাভাইরাসের পাশাপাশি ডেঙ্গু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ডেঙ্গু নিয়ে সচেতন হতেও তিনি দেশবাসীকে অনুরোধ জানান।