শেরপুুরে ভেজাল গুড়ের কারখানার ২ ব্যবসায়ীর কারাদন্ড!
মোঃ রনি আহমেদ রাজু ক্রাইম রিপোর্টার
শেরপুরের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের সাহাব্দীরচর দশানীপাড়া এলাকায় ভেজাল গুড়ের ২ কারখানার সন্ধান মিলেছে। বুধবার দুপুরে ওই দুই কারখানায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় একটি ভেজাল কারখানার মালিক স্থানীয় হাতেম আলীর ছেলে সাজল মিয়াকে (৪০) কে ৩ মাসের জেল ও ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ মাসের জেল এবং অপর কারখানার মালিক ঈমান আলীর ছেলে মো. আব্বাস উদ্দিনকে (৪৪)কে ৩ মাসের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ মাসের জেল দেওয়া হয়। সেই সাথে ভেজাল গুড় ও কেমিকেলগুলো ধ্বংস করা হয়। পরে জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় তাদেরকে সাজা পরোয়ানামূলে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের সাহাব্দীরচর দশানীপাড়া এলাকায় দুটি কারখানায় দীর্ঘদিন থেকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আখ ছাড়া শুধু চিনি,
ময়দা, ডালডা, চিটাগুড় ও কেমিকেল মিশিয়ে ভেজাল গুড় তৈরিসহ বাজারজাত করে আসছিলেন সাজল মিয়া ও আব্বাস উদ্দিন। পরে বুধবার দুপুর ২টার দিকে এনএসআইয়ের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় এনএসআইয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ রহমান জানান, ভেজাল দুই গুড়ের কারখানায় অভিযান চালিয়ে ওই ঘটনায় জড়িত ২ ব্যক্তিকে সাজাসহ জরিমানা করা হয়। সেইসাথে ভেজাল উপকরণসহ মালামাল সেখানেই ধ্বংস করা হয়। জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।