পাবনা গোয়েন্দা শাখার অভিযানে অপহরণকারী চক্রের ৩ জন সদস্য গ্রেফতার ও লুন্ঠিত টাকা উদ্ধার!
মোঃ রনি আহমেদ রাজু ক্রাইম রিপোর্টার
পাবনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, বিপিএম নির্দেশনায় পাবনা জেলাকে অপরাধমুক্ত করার লক্ষ্যে অভিযোগ পাওয়ার ১০ ঘন্টার মধ্যে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অভিযানে অপহরণ ও মুক্তিপন আদায়ের ঘটনার মূলহোতা রবিন আহম্মেদ রানা সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। গত দিবাগত রাত ২টার দিকে আসামীদের হেফাজত হইতে ভিকটিমের নিকট হইতে নেওয়া ৯৩ হাজার টাকার মধ্যে ৭০,হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গত রোববার বিকাল সাড়ে ৪টায় ভিকটিম মোঃ আলাউদ্দিনকে সুজানগর থানাধীন বদনপুর মাদ্রাসার সামনে তার মটর সাইকেল থামিয়ে সাহায্য চায় জনৈকা মহিলা। কথা বলার এক প্রযায়ে পূ্রব থেকে ওত পেতে থাকা কয়েকজন ভিকটিমকে আটক করে নির্জন স্থানে অপহরণ করে নিয়ে মারপিট করে এবং তার স্বজনদের মাধ্যমে বিকাশে ৯৩ হাজার টাকা মুক্তিপন আদায় করে।
ভিকটিম আলাউদ্দিন গতকাল সোমবার বিকালে উক্ত ঘটনায় সুজানগর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে থানায় মামলা রুজু হয়। পুলিশ সুপার,পাবনার আদেশে মামলাটি তাৎক্ষণিক ভাবে জেলা গোয়েন্দা শাখায় তদন্তভার অর্পণ করা হয়।সুজানগর থানার মামলা নং-০৭,
তদন্তকারী অফিসারঃ এসআই(নিঃ) অসিত কুমার বসাক ডিবির একটি চৌকস টিম টানা ৫ ঘন্টা অভিযান করে ঘটনার সাথে জড়িত অপহরনকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে ও তাদের নিকট থেকে মুক্তিপন বাবদ আদায় করা ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃতরা হল ১। রবিন আহম্মেদ রানা (৩৪), পিতা-মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাং-দুলাই চৌধুরীপাড়া, ২। মোঃ ফারুক হোসেন (৩৪), পিতা-মোঃ মাহাতাব মোল্লা, সাং-বদনপুর উত্তরপাড়া, ৩। মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৫), পিতা-মোঃ আজমত মোল্লা, সাং-বদনপুর উত্তরপাড়া, সর্ব থানা-সুজানগর, জেলা-পাবনা।ডিবি অফিস সুত্র আরো জানায়, আসামী রবিন আহম্মেদ রানার নেতৃত্বে এই চক্রটি চাদাবাজি ও এই ধরনের অপহরনে জডিত, তারা এই কাজে নারীদের ব্যবহার করে, যারা বিভিন্নন ভিকটিমের সাথে সুকৌশলে পরিচিত হয় ও পরে তাদেরকে আটক করে টাকা আদায় করে। আসামী রবিন আহম্মেদ রানার বিরুদ্ধে মাদক, দ্রুত বিচার আইন সহ ৪টি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে।