খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের
সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা
বর্তমানে স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীর। গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে
আজ শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মির্জা
ফখরুল বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন আপাতত
স্থিতিশীল রয়েছে। তার কোনো খারাপ কিছু হয়নি এ পর্যন্ত। তিনি করোনাভাইরাস
প্রতিরোধী এক ডোজ টিকা নিয়েছেন। খুব শিগগিরই দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেবেন তিনি।
আগামী ১৯ আগস্ট তার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নির্ধারিত রয়েছে। এর আগে গত ১৯ জুলাই
খালেদা জিয়া রাজধানীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও
হাসপাতালে মডার্নার টিকা নেন।উল্লেখ্য,
গত ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে গত ২৭
এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ৫২ দিন
চিকিৎসা শেষে গত ১৯ জুন গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরাজায় ফেরেন সাবেক এই
প্রধানমন্ত্রী। এর পর থেকে বাসাতেই চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন তিনি।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সাম্প্রতিক ছবিসরকারের
মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল
বলেন, বিএনপি করোনার টিকা নিয়ে কোনো রাজনীতি করছে না। বরং আওয়ামী লীগ সরকার
অপরাজনীতি করছে। একদিকে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে মিথ্যা ও ভুল তথ্য
দিয়ে, অন্যদিকে জনগণকে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।বিএনপি
মহাসচিব বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের মারাত্মক সংক্রমণ
অব্যাহত আছে, অথচ বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে।
আবার ১৯ তারিখ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব কিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। এই
সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায়। এই
সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী বলে মনে করে স্থায়ী কমিটি।সরকার ও সিটি
করপোরেশনগুলোর ব্যর্থতার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে
বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, এডিশ মশা নিধনে
বাস্তবসম্মত কোনো উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে সিটি করপোরেশনগুলো। এ জন্য
জনগণকে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে মশা নিধনের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
জানান তিনি।