কেঁচো খুড়তে বেরিয়ে আসলো সাপ।
দেশের
৬ রুটে বর্তমানে ৫৩টি ফেরি চলাচল করছে। এর মধ্যে ৪৭টিরই ফিটনেস সনদ নেই।
সবগুলো ফেরিই চলাচল করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের
(বিআইডব্লিউটিসি) সরাসরি পরিচালনায়। তাই এই অসঙ্গতির ব্যাপারে অভিযোগ
দেওয়ারও কেউ নেই, আইনি ব্যবস্থা নেয়া তো অনেক পরের কথা!অভ্যন্তরীণ
নৌচলাচল অধ্যাদেশ (১৯৭৬) অনুযায়ী, একটি ফেরি ৩০ বছর চলার কথা। মেয়াদ শেষ
হওয়ার পর সংস্কার সাপেক্ষে বিশেষ বিবেচনায় সেগুলো ৫ বছর করে দুই দফায় ১০
বছর মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারে। এই ৪০ বছরের হিসেবেও নির্দিষ্ট জীবনকাল
অতিক্রম করেছে ২৬টি ফেরি। ৯৫ বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি বয়সের অন্তত ৫টি ফেরি
এখনো দিব্যি চলছে।এ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো.
তাজুল ইসলাম বলেন, নির্দিষ্ট মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে সত্যি, তবে ফেরিগুলো
আন্তর্জাতিক সংস্থা ক্লাসিফিকেশন সোসাইটিসের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা।
এগুলো খুবই মজবুত, ৪০ বছর পরও অনায়াসেই চলতে পারে।সম্প্রতি অন্তত
চারবার পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা লেগেছে। এর মধ্যে ২০ জুলাই ১৬
নম্বর পিলারে রো রো ফেরি শাহ মখদুম, ২৩ জুলাই রো রো ফেরি শাহজালাল ১৭ নম্বর
পিলারে, ৯ আগস্ট রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ১০ নম্বর পিলারে এবং ১৩
আগস্ট ১০ নম্বর পিলারে কাকলি ফেরির ধাক্কা লাগে। ফেরির ফিটনেসহীনতার কারণেই
এমনটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।