স্টাফ রিপোর্টার : মাগুরা সদর উপজেলার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাশিনাথপুর গ্রাম থেকে পাকা করা ছোট ছাদের বিল্ডিং ভেঙ্গে তৈয়ব আলীর মৃতদেহ বের করে গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
সোমবার ৩০ আগষ্ট বেলা ১২ টার সময় মাগুরা কাশিনাথপুর গ্রামে মৃত্যুর ৯ দিন পর পাকা মাজারকৃত ছোট বিল্ডিংটি ভেঙ্গে তৈয়ব আলী মোল্লা (৭০), পিং- মৃত আরজু মোল্লা নামের এক মাইজভাণ্ডারী ভক্তের লাশ উদ্ধার করলো গ্রামবাসী।
মাগুরা পৌর এলাকার কাশিনাথপুর কারিগর পাড়ায় উত্তেজনার মধ্যেই আলেম ওলামাদের নেতৃত্বে হাজারো মানুষ জড়ো হয়ে একটি পাকা ঘর ভেঙ্গে তৈয়ব আলীর মৃতদেহ বের করা হয়। এরপর ওই গ্রামের গোরস্থানে মৃতদেহটি দাফন করা হয়েছে।
কাশিনাথপুর গোরস্থান মসজিদের ইমাম উজির আলী জানান, কারিগর পাড়ার বাসিন্দা তৈয়ব আলী (৭০) মাইজভাণ্ডারী ও লালন ভক্ত ছিলেন।
নিজ ঘরে গত ২২ আগস্ট বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। গ্রামবাসীরা দাফন করতে চাইলে মৃত ব্যক্তির অসিয়ত মোতাবেক তার ভাতিজা আহাদ আলী জানাজা শেষে জানালা বিহীন একটি পাকা ঘরের মেজের উপর তাদের নিয়ম অনুযায়ী দাফন করে। এর পর ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও যশোরসহ বিভিন্ন জেলার মাইজভাণ্ডারী ভক্ত অনুসারীরা এবং ঝিনাইদহের হানিফ ও হাকিম এবং কাশিনাথপুর গ্রামের জাফর ও আলামিন ঐ ঘরের সামনে মোমবাতি জ্বালিয়ে তাদের নীতি ও বাজনা শুরু করলে গ্রামবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
ইসলামে এ ধরনের দাফন জায়েজ না থাকায় গ্রামবাসী, আলেম ওলামা, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে মৃত্যুর ৯ দিন পর ঘর ভেঙ্গে লাশ কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ আসিফ হাসান মেলিন, তিনি জানান এটা ইসলামি শরীয়ত বিরোধী। তৈয়ব আলীর চাচাতো ভাই মাতব্বর আবেদ আলী বলেন, আমার ভাই ব্যক্তিগত জীবনে খুব ভালো লোক ছিলো। সে কোন দিন কারোর সাথে গ্রামে খারাপ আচরণ করেনি, তবে মৃত্যুর পর সে কিভাবে সমাধিতো হবে এটা আমার কাছে কিছুই বলেনি। মাঝভান্ডারী সাধক তৈয়ব আলীর এই ঘর থেকে ৪ টা টিনের বাক্স, কয়েকটি বেতের বড় লাঠি, আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রের বই, নিজের হাতে লেখা লালন শাহের গানের খাতা, বাংলা ব্যাকারণ বই, কোরআন শরিফ সহ আরও বেশ কিছু দূলর্ভ বই পত্র পাওয়া গেছে। এই বই পত্র সংগ্রহ করা থেকে বুজা যায় যে, তিনি বিদ্যার প্রতি এবং চিকিৎসা শাস্ত্রের প্রতি বিশেষ আগ্রহী ছিলেন।