ছবি : সংগৃহীত
ভারতীয়
স্মার্টফোনের বাজারে বেশ রমরমা ওয়ান প্লাস-এর। সেই কোম্পানির সদ্য বাজারে
আসা হ্যান্ডসেটই কিনা বিকট শব্দে ফেটে গেল! তাও আবার দিল্লি আদালতের একটি
চেম্বারের ভিতর। আর তাতেই পুড়ল আইনজীবীর পোশাক। গোটা ঘটনায় ক্ষোভ উগরে
দিয়েছেন স্মার্টফোনটির মালকিন।শুধু তাই নয়, চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে মামলাও ঠুঁকছেন তিনি।ঘটনা
গত বুধবারের। আইনজীবী গৌরব গুলাটি জানান, নতুন দামি ওয়ান প্লাস নর্ড২ ৫জি
ফোনটিতে হঠাৎই লেগে যায়। পোশাকের (আইনজীবীদের গাউন) পকেটের কাছটায় গরম
অনুভব করেন তিনি। তারপরই দেখেন পকেট থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরিয়ে আসছে।
পকেটে থাকা ওয়ান প্লাস নর্ড২ ৫জি সেটটি ফেটেই এই কাণ্ড। সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে
যায় হ্যান্ডসেটটি।গৌরব বলেন, “সঙ্গে সঙ্গে গাউনটি খুলে ফেলি। আর ফোনটির কাছে যেতেই বিকট আওয়াজ করে সেটি ফেটে যায়। গোটা চেম্বার ধোঁয়ায় ঢাকে।”তিনি
জানান, ফোনটি একেবারেই নতুন। আগস্টের শেষ সপ্তাহেই সেটটি কিনেছিলেন তিনি।
আর তার বিস্ফোরণের দিন দুয়েক আগেই সেটি ব্যবহার শুরু করেছিলেন। কিন্তু এত
দামি ফোন কিনেও দু’দিনেই যে এমন ঘটনা ঘটবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি গৌরব।তিনি
বলেন, “এখনও পর্যন্ত আগের ফোন থেকে সব ডেটাও ট্রান্সফার করা হয়নি। তার
আগেই এই কাণ্ড। এমনকী বিস্ফোরণের সময় ফোনটি চার্জেও বসানো ছিল না। সম্পূর্ণ
অতর্কিতে এমনটা ঘটে গেল। ৩০-৩৫ হাজার টাকা দিয়ে যেন বোমা কিনেছিলাম। এই
ট্রমা থেকে এখনও বেরতে পারছি না।” আইনজীবী জানান, গোটা ঘটনার জন্য তিনি
ওয়ানপ্লাস এবং আমাজনের বিরুদ্ধে মামলা করতে চলেছেন।তবে এই প্রথম
নয়, মাস কয়েক আগেই ওয়ান প্লাস নর্ড ২ হ্যান্ডসেট বিস্ফোরণের খবর
প্রকাশ্যে এসেছিল। ফের এই সেটটিতে আগুন লাগল। যদিও সংস্থার দাবি, ইউজারদের
সুরক্ষার কথা ভেবে তারা এই বিষয়গুলি বিশেষভাবে খতিয়ে দেখে। কিন্তু
এক্ষেত্রেও পর্যাপ্ত তদন্তে সহযোগিতা করা হয়নি। তাই কীভাবে ঘটনাটি ঘটল, তা
এখনও স্পষ্ট নয়।