শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:০০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রাস্তার কাজ না করে টাকা ভাগাভাগি( সওজ) ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে রূপগঞ্জে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন মাগুরা গোপালগ্রাম ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এ্যাডভোকেট মিথুন রায় চৌধুরী পটুয়াখালী ভার্সিটির, পোস্টগ্রাজুয়েট স্ট্যাডিজ কমিটির সভা।। দুস্থ ও অসহায় মানুষের ভরসা যেন ঝর্ণা মান্নান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট সাপাহারে জোর পূর্বক লক্ষাধিক টাকার মাছ উত্তোলন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায়, মসজিদের ইমামের গরু লুট।। দুমকি উপজেলায়, গরু লুঠ মামলার ২ আসামি আটক শ্রীনগর থানা থেকে যুবদল নেতাকে ছিনিয়ে নিলো বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নওগাঁর মান্দায় ভূমিহীন কৃষকদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
Headline
Wellcome to our website...
প্রতিষ্ঠান দুটিতে সৃষ্টি হয়েছে এক ধরনের অস্থিরতা।
/ ২ Time View
আপডেট : শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২১, ৩:৫৯ অপরাহ্ন

 

প্রতিষ্ঠান দুটিতে
সৃষ্টি হয়েছে এক ধরনের অস্থিরতা।

চবি-চমেক ছাত্রলীগে অস্থিরতা, নেপথ্যে কী?

বন্দরনগরীর দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) মাঝে মধ্যেই খবরের শিরোনামে আসছে।
ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটিতে কয়েকদিন পরপর সংঘর্ষে জড়াচ্ছে
ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এতে প্রতিষ্ঠান দুটিতে
সৃষ্টি হয়েছে এক ধরনের অস্থিরতা। নগর আওয়ামী লীগের বড় দুই নেতার দ্বন্দ্ব,
আধিপত্য বিস্তার, গ্রুপিং এবং হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠান
দুটিতে এমন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ বৃহৎ দুটি ধারায় বিভক্ত। একটি পক্ষ
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী এবং
অন্য পক্ষ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী। মহিউদ্দিন চৌধুরীর
মৃত্যুর পর এখন গ্রুপটি নিয়ন্ত্রণ করছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। নগর আওয়ামী লীগের বৃহৎ এ দুটি ধারার প্রভাব
পড়েছে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের মধ্যে।দীর্ঘদিন ধরে চমেকে এককভাবে আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল আ জ ম নাছির
উদ্দিনের অনুসারী ছাত্রলীগের গ্রুপ। নাছির চমেক হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা
কমিটির সভাপতিও ছিলেন দীর্ঘদিন। গত বছরের ২০ আগস্ট এ পদে আসেন ব্যারিস্টার
নওফেল। সেই থেকে ধাপে ধাপে চমেক ক্যাম্পাসে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করে নওফেল
গ্রুপ। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একপর্যায়ে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়।
ছোটখাটো সংঘর্ষের পর গত ২৭ এপ্রিল চমেক ক্যান্টিনে এক ছাত্রলীগ নেতাকে
কটূক্তির ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন। এ
ঘটনার পর পাঁচলাইশ থানায় উভয় গ্রুপ পাল্টাপাল্টি মামলা করে। একইসঙ্গে চমেক
হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘট ডাকেন। পরে প্রশাসনের মধ্যস্থতায়
সমঝোতা হলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।সর্বশেষ গত শুক্রবার দিবাগত রাত ও শনিবার উভয় গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা
সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে শনিবার জরুরি বৈঠকে বসে প্রশাসন। বৈঠক শেষে মেডিকেল
কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে আবাসিক
শিক্ষার্থীদের শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আকতার বলেন, শুক্র ও শনিবার সংঘর্ষের
ঘটনার পর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।নগর পুলিশ উত্তর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোখলেছুর রহমান জাগো নিউজকে
বলেন, চমেক ক্যাম্পাসে আসলে ছোটখাটো বিষয়ে সংঘর্ষ হচ্ছে। এসব ঘটনায় কলেজ
প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। পাশাপাশি আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে আইনগত পদক্ষেপ
নিচ্ছি। এর আগের ঘটনায় কয়েকটি মামলা হয়েছে। শুক্র ও শনিবারের ঘটনায়ও অভিযোগ
সাপেক্ষে মামলা করা হবে।এদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগও দীর্ঘদিন ধরে বৃহৎ দুটি
ধারায় বিভক্ত। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগও ইউনিটটিতে কমিটি ঘোষণার সময় এক গ্রুপের
অনুসারীকে সভাপতি এবং অন্য গ্রুপের অনুসারীকে সাধারণ সম্পাদক করে। বর্তমান
সভাপতি রেজাউল হক রুবেল নওফেল এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু
নাছিরের অনুসারী। এর আগের কমিটিতে নাছির গ্রুপের আলমগীর টিপু সভাপতি এবং
নওফেল গ্রুপের ফজলে রাব্বি সুজন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে চবিতে বৃহৎ এ
দুটি ধারার পাশাপাশি ছাত্রলীগে একাধিক উপগ্রুপও রয়েছে। এদের মধ্যে সামান্য
কথাকাটাকাটি, হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন পরপর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।সর্বশেষ গত ১৪ এবং ১৫ অক্টোবর দুই দফায় সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের
নাছির-নওফেল গ্রুপ। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হন। ঘটনার পর সিসিটিভি
ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য যাচাই-বাছাই করে ছাত্রলীগের ১২ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার
করে প্রশাসন। তাদের মধ্যে দুজনকে এক বছর করে ও বাকিদের ছয় মাসের জন্য
বহিষ্কার করা হয়।চবি-চমেক ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং ও সংঘর্ষের বিষয়ে বিস্তারিত
জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের
মুঠোফোনে একাধিকবার কল হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page