যেসব রোগের আশঙ্কা বেড়ে গেছে তার মধ্যে স্ট্রোক অন্যতম।
আমাদের জীবনযাপনে বহু পরিবর্তন এসেছে। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও শারীরিক
পরিশ্রম দিন দিন করে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। এসব
পরিবর্তনের কারণে যেসব রোগের আশঙ্কা বেড়ে গেছে তার মধ্যে স্ট্রোক অন্যতম। তবে স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, অনেক ক্ষেত্রেই আগে থেকে এর কোনো
উপসর্গ টের পাওয়া যায় না। অনেক সময়েই স্ট্রোক হলে পক্ষাঘাত হয়ে যাওয়ার
সম্ভাবনা থাকে। প্রথমে রোগীর স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে কী না সেটা বোঝা জরুরি। এ
ব্যাপারে রোগীর স্ট্রোক হয়েছে কিনা সেটি বুঝার উপায় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তরুণ কুমার সাহা।তিনি বলেন, স্ট্রোক চেনার সহজ তিনটি ধাপ হচ্ছে- S T I Rসহজ উপায়ে স্ট্রোক শনাক্ত করার উপায়, সহজ তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুনS : Smile. রোগীকে হাসতে বলুন।T : Talk. রোগীকে আপনার সঙ্গে সঙ্গে একটি বাক্য বলতে বলুন। উদাহরণ- আজকের দিনটা অনেক সুন্দর।
R : Raise hands. রোগীকে একসঙ্গে দুইহাত উপরে তুলতে বলুন।এর কোনো একটিতে যদি রোগীর সমস্যা বা কষ্ট হয়, তৎক্ষণাৎ দেরি না করে তাকে
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব না
হলে বাড়িতেই কারও সাহায্য নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া উচিত। কেউ যদি এই সময়ে একা থাকেন, তা হলে কাউকে ডেকে দ্রুত সাহায্য চাওয়া উচিত। জেনে নিন এ সময় কী করবেন—১। কখন কোন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে এবং সেগুলি কতটা বাড়ছে, তা ভাল করে
খেয়াল রাখতে হবে। চিকিৎসার সময়ে সব তথ্য সঠিক ভাবে দেওয়া এ ক্ষেত্রে
আবশ্যিক। ডায়াবেটিকস, স্লিপ অ্যাপনিয়া বা হাইপারটেনশনের মতো কোনো রোগ থাকলে
তা চিকিৎসকদের জানাতে হবে।২। আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা এবং পাল্স রেট
খেয়াল রাখুন। মুখের কোনো অঙ্গ বেঁকে যাচ্ছে কি না খেয়াল রাখতে হবে।
নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ এবং ধরন খেয়াল রাখতে হবে।৩। স্ট্রোক হওয়ার সময়ে কিছু খেলে বা পান করলে শ্বাস আটকে সমস্যা হতে
পারে। এমনকি, মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই এই সময়ে কোনও রকম খাওয়া-দাওয়া
করা যাবে না।
৪। এই সময়ে মাথা ঠান্ডা রেখে, যা যা করণীয়, তাই করে যেতে হবে। দুশ্চিন্তা করলে অনেক বেশি ভুল হয়ে যেতে পারে। সূত্র : আনন্দবাজার