প্রিন্ট এর তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১, ২০২৫, ৯:৫৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ৪, ২০২১, ৪:২৯ এ.এম
আড়াই বছরে একশর বেশি দুর্নীতি মামলায় আসামিদের চারশ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত
আড়াই বছরে একশর বেশি দুর্নীতি মামলায় আসামিদের চারশ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত
আড়াই বছরে একশর বেশি দুর্নীতি মামলায় আসামিদের চারশ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বছর দুয়েক আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত কেরানি আবজাল হোসেনের দেশে-বিদেশে হাজার কোটি টাকার সম্পদের অভিযোগ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধানে সম্পদের বৈধ উৎস না পাওয়ায় দেশে তার প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করা হয়।
দুদকের পরিসংখ্যান বলছে, এভাবে বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাটসহ সব মিলিয়ে ২০১৯ সালে ক্রোক হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা, ২০২০ সালে ১৮০ কোটি টাকা এবং চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩২৪ কোটি টাকা ক্রোক করেছে দুদক। অন্যদিকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ অস্থাবর সম্পদ জব্দ করা হয়েছে, ২০১৯ সালে ১১৮ কোটি টাকা, ২০ সালে ১৫২ কোটি টাকা এবং চলতি বছরের নয়মাসে ১ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। সবমিলে ক্রোক এবং জব্দ করা সম্পদের পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকার বেশি।
দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, আমরা প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক করেছি। অবৈধভাবে অর্জিত কোন সম্পদই কেউ ভোগ করতে পারবে না, এটাই আমাদের বার্তা তাদের প্রতি।
যাদের সম্পদ ক্রোক এবং জব্দ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে জনপ্রতিনিধি, ব্যাংক মালিক, ব্যবসায়ী, সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যাংকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার আসামি রয়েছেন। এসব সম্পদ এখন রাষ্ট্রের কোষাগারে।অস্ট্রেলিয়া-কানাডায়ও সম্পদ জব্দ করা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে ২০১৯ থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত আদালতের অনুমতি নিয়ে সাড়ে চারশো কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানান দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। তিনি বলেন, যেসব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয় সেগুলো রাষ্ট্রের অনুকূলেই করা হয়। যখন চুড়ান্ত রায় হয় তখন রায়ে বলা হয় এই সম্পদ অবৈধ এগুলো রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
দুদক বলছে, দেশের বাইরেও ৫ লাখ ৬৪ হাজার কানাডিয়ান ডলার এবং ৬১ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার আদালতের অনুমতি নিয়ে জব্দ করা হয়েছে।
শিক্ষাতথ্য টিভি