যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি, কনের বাবাসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখম।
চুয়াডাঙ্গায় যৌতুক না দেওয়ায় মেয়ের বাবাসহ চারজনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে ছেলেপক্ষের বিরুদ্ধে,গতকাল সোমবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়,এর আগে রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার সড়াবাড়িয়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন- সরাবাড়িয়া গ্রামের মৃত আবু বকর মল্লিকের ছেলে আবু তাহের মল্লিক (৫৫), তার দুই ছেলে (কনের দুলাভাই) শরিফুল ইসলাম (২৫), বাবু (১৬) ও কনের পিতা জীবননগর উপজেলার সেনেরহুদা গ্রামের উম্মাদ আলীর ছেলে মধু মিয়া (৪৫)।
আহত মেয়ের বাবা মধু মিয়া বলেন, বছরখানেক আগে আমার মেয়ে কনার (১৬) সঙ্গে সরাবাড়িয়া গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার আজিজুল মল্লিকের ছেলে শাওনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, আড়াই মাস পূর্বে পারিবারিকভাবে তাদের বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই জামায় শাওনসহ তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুক বাবদ একটি মোটরসাইকেল, স্বর্ণের আংটি ও স্মার্ট মোবাইল দাবি করে আসছে,আমি দরিদ্র হওয়ায় তাদের দাবি মেনে নিতে পারেনি,এই নিয়ে মাঝেমধ্যেই আমার মেয়েকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে।তিনি আরও জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার সকালে আমার বেয়ান ময়না খাতুন মোবাইল ফোনে আবারও যৌতুক দাবি করেন,আমি একমত না হওয়ায় বিকেলে আমার বাড়িতে চলে আসে তারা,পরে রাতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের সম্মতিতে যৌতুক না নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হয়,এরপর শাওনের মা ময়না খাতুন গালাগাল শুরু করে। এতে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন উভয়পক্ষ। একপর্যায়ে শাওন, তার বাবা আজিজুল ও তার তিনভাই বাঁশ দিয়ে আমাদের পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাকিল আরসালান বলেন আবু তাহেরের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে, তিনি শঙ্কামুক্ত নন,তার শারীরিক অবস্থার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে,প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে পাঠানো হতে পারে। আহত বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল কবীর বলেন, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ,তবে ওই ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ দেননি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।