কক্সবাজারে পর্যটক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৫ জন গ্রেপ্তার।
কক্সবাজারে পর্যটক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় এজাহারভুক্ত দুইজনসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ,এর আগে এই ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার এজাহারভুক্ত আসামি রিয়াজ উদ্দীন ছোটনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত,গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হামীমুন তাজনীন এর আদালতে আসামিকে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত শুনানি শেষে ৪ দিন রিমান্ডের আদেশ দেন।
আসামি রিয়াজ উদ্দীন জিয়া ছোটন গেস্ট ইন নামের আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপক। তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী এলাকার মাইজ পাড়ার বাসিন্দা জসিম উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার দিন রাতেই আটক করা হয় রিয়াজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তার আগে, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩ জনসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন,মামলার আসামিরা হলেন: আশিকুল ইসলাম আশিক, ইসরাফিল হুদা জয়, রিয়াজ উদ্দিন ছোটন ও বাবু,মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৩ জনকে।
গত বুধবার রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট সংলগ্ন এক মার্কেটে ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর সঙ্গে অপরিচিত এক যুবকের ধাক্কা লাগে,এ ঘটনায় সেখানে উপস্থিত কয়েকজন যুবক স্থানীয় পর্যটন গলফ মাঠের সামনে ভুক্তভোগী নারীকে স্বামী ও সন্তানসহ নিয়ে যায়। পরে স্বামী ও সন্তানকে আলাদা করে ওই নারীকে একটি অটোরিকশাযোগে তিন যুবক মিলে পর্যটন গলফ মাঠের পিছনে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়, এরপর সেখানকার একটি ঝুপড়ি ঘরে আটকে রেখে ওই নারীকে তারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
এ ঘটনার পর ওই নারীকে নিয়ে যায় কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনের আবাসিক হোটেল জিয়া গেস্ট ইন-এ,পরে হোটেলটির তৃতীয় তলার একটি কক্ষে দ্বিতীয়বার ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়,ঘটনার পর র্যাব অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে আবাসিক হোটেল কক্ষ থেকে উদ্ধার করে,পরে ভুক্তভোগী নারীর তথ্যের ভিত্তিতে পর্যটন গলফ মাঠ এলাকা থেকে স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয়। আবাসিক হোটেলটির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে নিপাপত্তা বাহিনী,মামলাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশকে।