জয়পুরহাটে কাবিন জালিয়াতি মামলায় কাজী আঃ করিমকে সমন জারী
জয়পুরহাট প্রতিনিধি/
জয়পুরহাট কালাইয়ে পৌরসভার ৭/৮/৯ নং ওয়ার্ডের কাজী আঃ করিম ভুয়া কাবিন নামায় বিবাহ পরানোর অপরাধে দায়ের করা মামলায় গত রোববার (২০ ফ্রেরুয়ারি) আদালত সমন জারী করেছে৷
সে দীর্ঘদিন ধরে নামে বেনামে ভুয়া কাবিনের মাধ্যমে বিবাহ রেজিস্টি করে আসছিল। শুধু তাই নয় সমপ্রিতিকালে আদালতে ভুয়া চালান জামিন জালিয়াতি অপর্কমের সংঙ্গে জরিত৷
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট জেলার কালাই পৌরসভার ৭/৮/৯নং ওর্য়াডের কাজি আঃ করিমের জাল ভুয়া কাবিন তৈরিকৃত কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের মোঃ রমজান আলীর ছেলে মেহেদী হাসান (৩০) সঙ্গে গত ১৭/৩/১৭ তারিখে স্বপ্না স্বামী তালাক প্রদান করেন। কালাই উজেলার আহম্মাদাবাদ ইউনিয়ন এর মুড়াইল গ্রামের মৃত্যু মোজাহার আলী কন্যা সপ্না আক্তার (২৩) বিবাহ হয়। সপ্না বর্তমানে কোন এক বেসরকারি ক্লিনিকে নার্সের চাকরি করছেন৷
বিয়ের মাত্র ৯ মাস পার হতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতের মিল না হওয়ায় আঃ করিম কাজির মাধ্যমে গত ৩/৯/১৮ পরবর্তীতে সপ্না ও তার পরিবারের লোকজন কালাই পৌরসভা ৭/৮/৯ নং কাজির বিহি নং ১/২০১৮/ রেজিঃ নং এ পাতা নং ২১ / কাজী আঃ করিমের যোগসাজশে প্রতারণামূলক ও অবৈধভাবে অধিক অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার আশায় জাল কাবিননামা তৈরি করে।
অন্যদিকে ছেলে পক্ষ বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিকারের জন্য মেহাদী হাসান বাদী হয়ে সাবেক স্ত্রী সপ্না আক্তার (২৩) কাজী আঃ করিমসহ ৫ জন কে আসামি করে জয়পুরহাট সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ১৬/০২/২০২০ইং যার মামলা নং ২৬/২০২০ অন্য প্রকার । তাদেরকে জাল কাবিননামার জাবেদা নকল তৈরি, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে এ মামলায় আসামি করা হয়।
আসামিরা হলেন, কাজি আঃ করিম মোছাঃ সপ্না আক্তার মোঃ শামিম মন্ডল মোঃ আমিরুল ইসলাম মুনজুয়ারা বেগুম৷ এই ঘটনায় গত (২০ ফ্রেব্রয়ারি) আসামিদের সমন জারি করেন কালাই পারিবারিক আদালত জয়পুরহাট৷ এ ঘটনায় কাজীসহ সকল আসামিদের বিজ্ঞ আদলতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
আদালতে দাখিল করা আরজিতে বলা হয়েছে, সপ্নার পরিবারের কয়েকজন ও কাজী আঃ করিম নিকাহ রেজিস্ট্রার লাইসেন্স থাকা স্বত্বেও মিথ্যা ও অবৈধ অর্থ লাভের আশায় জাল নিকাহ নামা তৈরি করে অত্র মামলার বিবাদী পক্ষকে সরবরাহ করেছে।
ভুক্তভোহী মেহেদীহাসা বলেন উক্ত ভুয়া কাবিন তৈরী পৃর্বে তিনি ইনসেকটি সাইড পয়জনিং আক্রন্ত হয়ে কালাই ৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য হাসপাতালে চিকিৎসাধিন ছিলো যাহার তারিখ ০২/০৯/১৮/ হইতে ৪/০৯/১৮ ভর্তি ছিলো বিবাদিগন পরসপর যোগসাযোগে ৩/৯/২১৮ ইং তারিখে তথাকথিত বে আইনি গোপন কাবিন নামা সৃষ্টি করিয়াছে৷
এ দিকে সোমবার সরেজমিনে কালাই পৌরসভার ৭/৮/৯ এলাকায় গিয়ে জানা যায়, কাজী আঃ করিম বিভিন্ন সময়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে একাধিক কাবিন নামা তৈরি করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগে জানিয়েছে।
অভিযুক্ত আঃ করিম জয়পুরহাট কালাই মৃত্য হারেজ উদ্দীনের ছেলে৷
স্থানীয়রা আরও জানান, কাজী বাল্য বিবাহ, কাবিন নামা নকল সহ অনিয়মের সাথে জড়িত হয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে৷
অভিযোগের বিষয়ে জান্তে কাজী আঃ করিমের খোজ নিয়ে যানা যায় ভুয়া চালান দেখিয়ে জামিন জালিয়াতি মামলায় কারা গারে থাকায় তার সাথে যোগাযোগ তার পরিবারে মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।