রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
রাস্তার কাজ না করে টাকা ভাগাভাগি( সওজ) ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে রূপগঞ্জে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন মাগুরা গোপালগ্রাম ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এ্যাডভোকেট মিথুন রায় চৌধুরী পটুয়াখালী ভার্সিটির, পোস্টগ্রাজুয়েট স্ট্যাডিজ কমিটির সভা।। দুস্থ ও অসহায় মানুষের ভরসা যেন ঝর্ণা মান্নান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট সাপাহারে জোর পূর্বক লক্ষাধিক টাকার মাছ উত্তোলন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায়, মসজিদের ইমামের গরু লুট।। দুমকি উপজেলায়, গরু লুঠ মামলার ২ আসামি আটক শ্রীনগর থানা থেকে যুবদল নেতাকে ছিনিয়ে নিলো বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নওগাঁর মান্দায় ভূমিহীন কৃষকদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
Headline
Wellcome to our website...
জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে খুন, ৩ জনের ফাঁসির আদেশ৷
/ ২ Time View
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন

 জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে খুন, ৩ জনের ফাঁসির আদেশ৷ 

আঃ রাজ্জাক  জয়পুরহাট প্রতিনিধি

২৪.০২.২২

 জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যার ঘটনায় স্ত্রীসহ তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ  আদালত। 

আজ ২৪ ফেব্রুয়ারী দুপুরে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ নুর ইসলাম  এ রায় ঘোষণা করেন।  এ সময় শুধু সেলিম মিঞা  আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

বাকি নিহতের স্ত্রী  আসামি  আকলিমা ঘটনার পর গ্রেফতার হলেও পরে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-  দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার দেওগ্রাম ডুগডুগি গ্রামের নিহত আব্দুর রহিমের (৩৭) স্ত্রী আকলিমা খাতুন (২৭),  শালগ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে সেলিম মিঞা (৩৪) ও গোপালপুর গ্রামের  মৃত গোলাপ রহমানের ছেলে আইনুুল (৩৭)। 

মামলার বিবরনীতে জানা যায়, আকলিমা খাতুনের  স্বামী রহিম বাদশাকে  (৩৭) গলা কেটের হত্যার অভিযোগে তাদের এই দণ্ড দেয়া হলো।

 নিহত রহিম বাদশা দিনাজপুর জেলার দেওগ্রাম ডুগডুগি গ্রামের শাহাদত হোসেন ওরফে সাদার ছেলে। রহিম বাদশা একজন ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাসের চালক ছিলেন। 

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি জানান, স্বামীর সহকারি হিসেবে কাজ করত সেলিম মিঞা। এই সুবাদে তাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। পরে তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরী হয়। দীর্ঘ দিন  ধরে চলা এ সম্পর্কের জেরে তারা অবৈধ সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন।

এক পর্যায়ে তারা আকলিমা খাতুনের  স্বামী রহিম বাদশাকে  তাদের পথের কাটা মনে করেন। তারা রহিম বাদশাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০১৬  সালের ১০ জুলাই রাতে আকলিমারর পরকীয়া প্রেমিক সেলিম মিঞা  তার বন্ধু আইনুলকের নিয়ে রহিম বাদশাকে মাইক্রোবাসের মধ্যে গলাকেটে হত্যা করে  জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বারকান্দি নামক স্থানে রাস্তার ধারে মাইক্রোবাসে চালকের আসনে বসা অবস্থায় মরদেহ রেখে চলে যান।  এরপর  পরদিন ১১ জুলাই নিহত রহিম বাদশার পিতা  শাহাদত হোসেন ওরফে সাদা  বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলা করেন। 

এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন  পাঁচবিবি থানার ওসি তদন্ত কিরণ কুমার,   ১৩ জুলাই রহিম বাদশার স্ত্রী আকলিমা খাতুনের পরকীয়ার প্রেমিক সেলিম মিঞা , ১৪ জুলাই রহিম বাদশার স্ত্রী আকলিমা খাতুন ও ১৬ জুলাই আইনুলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠান। 

গ্রেফতার পর তিন আসামিই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। এবং ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন পাঁচবিবি থানার ওসি তদন্ত কিরণ কুমার রায় তিন জনের নামে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।

আইনজীবী নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি জানান, কারাগারে থাকার পর আসামী আকলিমা  জামিনে ছিলেন।তাঁর অনুপস্থিতিতে  দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের বিচারক  জেলা ও দায়রা জজ নুর ইসলাম আজ এ রায় দেন।  

রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত সেলিম মিঞাকে ও আইনুলকে  জয়পুরহাট  কারাগারে পাঠানো হয়।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page