এ ঘটনায় পুড়ো এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় নিহতের আপন বড় বোন জেরিন আক্তার (৯)। তাকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত জেরিন চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। নিহত সাবা মনি ও আহত জেরিন আক্তার কাহালু উপজেলার দামাই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে। নিহত সাবার বাবা জাহাঙ্গীর জানান, গত শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তার বড় মেয়ে জেরিন ও ছোট মেয়ে সাবা প্রতিবেশী হাফিজার রহমানের বরইগাছের নিচে বরই কুড়াতে গেলে আমার চাচাতো ভাই রেজওয়ান তাদেরকে বেদম মারধর করে। একপর্যায়ে আমার ছোট মেয়ে সাবা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। বড় মেয়ে জেরিনকেও হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে রেজওয়ান। সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জেরিন। ঘটনার কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশী হাফিজার রহমানের কাছে খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে গিয়ে দেখি জেরিন অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে আর সাবা মনি মারা গেছে। মেয়ের মৃত্যু দেখে আমিও জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। স্থানীয়রা আহত জেরিনকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। তিনি আরো জানান গত এক বছর আগে অভিযুক্ত রেজওয়ানের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছিল আমার। এদিকে নিহতের স্বজনদের দাবি পুলিশকে না জানিয়ে সাবার মরদেহ ঐ রাতেই দাফন করে অভিযুক্তরা। এবং এ হত্যাকান্ডকে জিনের কাণ্ড বলে এলাকায় প্রচার চালায় তারা। নিহত সাবার জানাজা নামাজ ও দাফনের সময় শতশত মানুষ উপস্থিত হলেও সেখানে রেজওয়ানকে দেখা যায়নি। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। ঘটনার তিনদিন পর গত সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাসপাতালে জ্ঞান ফিরে আসে আহত জেরিনের। সে জানায়, এটি জিনের কান্ড নয়, এটা হত্যাকাণ্ড, তখনই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিকদের নিজ মুখে ঘটনার সত্যতা খুলে বলে জেরিন। সে বলে তার চাচা রেজওয়ান চাচ্চু লাঠি দিয়ে আঘাত করে আমার বোন সাবাকে মেরে ফেলেছে। আমি এগিয়ে গেলে আমাকেও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যাই, আর কিছু বলতে পারিনা।