রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
রাস্তার কাজ না করে টাকা ভাগাভাগি( সওজ) ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে রূপগঞ্জে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন মাগুরা গোপালগ্রাম ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এ্যাডভোকেট মিথুন রায় চৌধুরী পটুয়াখালী ভার্সিটির, পোস্টগ্রাজুয়েট স্ট্যাডিজ কমিটির সভা।। দুস্থ ও অসহায় মানুষের ভরসা যেন ঝর্ণা মান্নান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট সাপাহারে জোর পূর্বক লক্ষাধিক টাকার মাছ উত্তোলন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায়, মসজিদের ইমামের গরু লুট।। দুমকি উপজেলায়, গরু লুঠ মামলার ২ আসামি আটক শ্রীনগর থানা থেকে যুবদল নেতাকে ছিনিয়ে নিলো বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নওগাঁর মান্দায় ভূমিহীন কৃষকদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
Headline
Wellcome to our website...
ইলিমার বিভাগীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা হলো না
/ ২ Time View
আপডেট : মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০২২, ২:৩৬ অপরাহ্ন

 ইলিমার বিভাগীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ 

করা হলো না

আঃ রাজ্জাক জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

জয়পুর

হাটের ক্ষেতলাল আটি দাশড়া উচ্চ 

বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ইলিমা খাতুন রেসিং সাইকেল এর অভাবে 

বিভাগীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় অংশ করতে পারেনি। মঙ্গলবার 

অনুষ্ঠিত হয়েছে বিভাগীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতা। 

জানা গেছে, ক্ষেতলালের আটি দাশড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ও 

দাশড়া মোনঝার গ্রামের কুলি শ্রমিক ইসমাইল হোসেনের মেয়ে ইলিমা 

খাতুন মাধ্যমিক পর্যায়ে ক্ষেতলাল উপজেলা এবং জেলায় সাইক্লিং 

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে। ৮ মার্চ মঙ্গলবার রাজশাহীতে 

বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু অর্থের অভাবে 

রেসিং সাইকেল কিনতে না পারায় ইলিমা খাতুন বিভাগীয় 

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় 

অংশ গ্রহনের শর্ত ছিল নিজেস্ব রেসিং সাইকেল থাকতে হবে। হতদরিদ্র 

কুলি শ্রমিক পিতার পক্ষে মেয়েকে রেসিং সাইকেল কিনে দেওয়া সম্ভব 

হয়নি। ইতিপূর্বে ইলিমা খাতুন উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে অন্যের সাধারণ 

সাইকেল ধার নিয়ে সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে প্রথম 

স্থান অধিকার করেছিল। ওই এলাকায় কারো রেসিং সাইকেল না থাকায় ধার 

নেওয়াও সম্ভব হয়নি। গতকাল সোমবার ৭ মার্চ ইলিমার স্বপ্নভঙ্গের আশঙ্কার 

বিষয়টি স্থানীয় সংবাদকর্মিরা সোস্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি প্রচার করলেও 

কেউ সাড়া দেননি।

এদিকে ইলিমা খাতুন কান্নাজড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, আমার 

বিশ্বাস ছিল বিভাগীয় পর্যায়েও প্রথম হতাম। গরিব ঘরে জন্ম নেওয়ায় 

আমার স্বপ্নভঙ্গ হলো। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের নিকট 

গিয়েও কোন সাড়া পাইনি।

বাবা কুলি শ্রমিক ইসমাইল হোসেন তার অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করে 

বলেন, উপজেলা ও জেলা পর্যায় মেয়ের সাফল্যে গর্বিত হয়েছিলাম কিন্তু 

মেয়েকে রেসিং সাইকেল কিনে দেওয়ার সামর্থ্য আমার নেই বলে বিভাগীয় 

পর্যায় অংশগ্রহন করা হলো না।

আটি দাশড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, 

বিভাগীয় পর্যায় সাফল্য এলে সুনাম প্রতিষ্ঠানের হতো কিন্তু 

প্রতিযোগিকে সাইকেল কিনে বা ব্যবস্থা করে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের নয় 

বলে রাগান্বিত হয়ে ফোন কেটে দেন। 

ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, আমি বিষয়টি 

বিভাগীয় প্রতিযোগিতার দিনই জানতে পেরেছি। আগে জানতে পারলে 

একটা ব্যবস্থা করা যেত।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page