লালমনিরহাট বাঁশ কাটায় ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর
মেহেরুবান হাবিব লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার কেতকীবাড়ি এলাকায় নওদাবাস ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জাহেদুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে। তবে জাহেদুল ইসলাম দাবি করেন, চেয়ারম্যান ও তার লোকজন তাদের মারধর করে তাদের অসংখ্য বাঁশ কেটে ফেলেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাতে এ ঘটনায় ঐ ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মায়ানুর রহমান পলাশ বাদী হয়ে জাহিদুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অপরদিকে জাহেদুলের স্ত্রী নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে বুধবার রাতে নওদাবাস ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হকসহ ২০ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এর আগে, বুধবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাতীবান্ধা উপজেলার কেতকীবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে বলা হয়, ঝড়ে নওদাবাস ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হকের একটি বাঁশঝাড় নিচে পড়ে যায়। ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে বাঁশ কাটতে বলেন। গত বুধবার সকালে রবিউল ইসলাম বাঁশ কাটতে দেখলে পূর্ব দিক থেকে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিত দল গঠন করে বাঁশের লাঠি, লোহার রড ও ধারালো লাঠি নিয়ে রবিউল ইসলামকে কাটতে নিষেধ করে। বাঁশ
রবিউল ইসলাম বাঁশ না কাটার বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানান। ইউপি চেয়ারম্যান তাকে নিয়ে বাঁশঝাড়ের কাছে গিয়ে বিবাদীদের চলে যেতে বললে তারা ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে তর্কাতর্কি শুরু করে এবং চেয়ারম্যানকে ধাক্কা ও মারধর করে। ফজলুল হকের বাম হাত ফুলে ও আহত হয়।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মায়ানুর রহমান পলাশ তার ভাতিজা আরমান (২৬) কে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে তার ঠিকাদারি কাজ কিনতে রংপুর যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে আসামি নুর মোহাম্মদ (নিরব) জোরপূর্বক পঁচাত্তর হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঠিকাদার মায়ানুর রহমান পলাশ ও তার ভাতিজা আরমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রেজি নং ৪৩৮৭/৪০ ও ৪৩৯৮/৫১।
বিবাদী জাহিদুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান ফজলুল হকসহ তার লোকজন আমার কেনা ৪ শতক জমির বাঁশ কাটতে আসে। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে ও আমার স্ত্রী সান্তাকে মারধর করে, গুরুতর জখম করে এবং সব বাঁশ কেটে নেয়।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, এ ব্যাপারে দুটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।