মাগুরায় মঘি ইউনিয়নের নোয়াপাড়ায় গলাটিপে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাষন্ড স্বামী বিপ্লবের বিরুদ্ধে
ফারুক আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার : মাগুরা সদর উপজেলার মঘি ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। স্বামীর নাম বিপ্লব মোল্যা সে নওয়াপাড়া গ্রামের গঞ্জর মোল্যার ছেলে। মৃতের আপন বড় ভাই ইউনুস মোল্লা জানান, আজ থেকে ১৪-১৫ বছর পূর্বে সত্যপুর গ্রামের খলিলুর রহমান মোল্লার মেয়ে হেলেনা খাতুনের (৩৮) সাথে নওয়াপাড়া গ্রামের গঞ্জর মোল্যার ছেলে বিপ্লব মোল্যার (৪৮) সাথে মুসলিম শরিয়াত মোতাবেক বিবাহ হয়। হেলেনার এক ছেলে আছে ১১ বছর বয়সের সত্য কথা প্রকাশ করার ভয়ে তাকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। বিবাহের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য প্রায় দেখা দেয়। স্থানীয় মাতব্বরবর্গ এদের নিয়ে প্রায় শালিষ বৈঠক করতেন। বিপ্লব মোল্লা গত ৯/১০মাস পূর্বে আবার ২য় বিবাহ করেছে ঢাকায় এক কাজের মহিলাকে। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া গন্ডগোল আরো তীব্র আকার ধারন করে। এমন কি বিপ্লব প্রায় হেলেনার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানোর খবর এমনকি মাঝে মধ্যে মেরে রক্তাত্ব করে হাসপাতালে পাঠাতো। সর্বশেষ গত ২৮/৪/২০২২ ঈদের কাপড় চপড় কেনাকাটা নিয়ে হেলেনাকে মারধর করা হয়। তখন খবর শুনে ইউনুস মোল্লা তার বাড়িতে গিয়ে বিপ্লব মোল্লাকে বলে তুমি আমার বোনকে কেন মারধর করো, তার দোষ কি, তুমি অতি দ্রুত ঢাকার কাজের মহিলাকে ছেড়ে দাও। এই কথা বলে ঈদ খরচের জন্য ইউনুস মোল্লা তার বোনজামাই বিপ্লব মোল্লা কে ২ হাজার টাকা দিয়ে আসে। উল্লেখ্য থাকে যে ১০/১৫ দিন আগে বিপ্লব কে ৫০ হাজার টাকা ঘরবাড়ি তৈরি বাবদ হেলেনার পিতা খলিলুর রহমান জামাই হাতে নগদ টাকা দিয়ে আসে। এ নিয়ে মঘি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পিল্টন মাহমুদ ঈদের আগের দিন শালিষ বৈঠক করে মিমাংশা করে দিয়েছেন। ঈদের দুই দিন বুধবার ৪ মে আনুমানিক দুপুর ২ টার সময় সত্যপুর গ্রামে হেলেনার মরার সংবাদ আসে। আমরা খবর শুনে নওয়াপাড়া গ্রামে গিয়ে বিপ্লবের বাড়িতে বিপ্লব বা তার বাড়ির কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায় নাই এবং হেলেনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলায় রেখে আত্বহত্যা করে মারা গেছে বলে এলাকায় খবর ছড়ায়। এদিকে আওয়ামীলীগ নেতা সাধারণ সম্পাদক পিল্টনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়েটি গলায় ফাঁস নিয়ে মারা গেছে। তবে পুলিশ লাশটিকে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ বলছে ময়না তদন্ত না করে এখন রিপোর্ট বলা যাচ্ছে না। তবে হেলেনা খাতুনের লাশ ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে, এটা প্রকৃত হত্যা না আত্বহত্যা তারপরেই লাশের প্রকৃত হত্যা রহস্য জানা যাবে।