মাগুরায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
ইমান উদ্দিন
মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরা সদর উপজেলার মঘি ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। নওয়াপাড়া গ্রামের গঞ্জো মোল্যার ছেলে বিপ্লব মোল্য ১৪-১৫ বছর পূর্বে সত্যপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে হেলেনা খাতুনকে বিবাহ করেন। তাদের ১১ বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে । বিপ্লব মোল্লা ঢাকায় একটি প্লাস্টিক কারখানায় চাকরি করেন, হেলেনার পরিবারের অভিযোগ বিপ্লবের সাথে গত এক বছর আগে তার কর্মস্থলে এক মহিলার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে ও উভয়ে পরকীয়ায় লিপ্ত হন, শোনা যায় সেই মহিলাকে গোপনে বিপ্লব বিবাহ করেছে। বিপ্লব তার বেতনের সমস্ত টাকায় উক্ত মহিলার পিছনে খরচ করত ও এই সংসারে কার্যত কোনো অর্থই সে পাঠাত না, এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মাঝে ঝগড়া ও গন্ডগোল সৃষ্টি হয়। বিপ্লব মাঝে মাঝে বাড়িতে এসে হেলেনার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালাত, এমনকি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও রক্তাত্ব করে হাসপাতালে পাঠাতো । সর্বশেষ ঈদের একদিন আগে ছুটিতে বাড়িতে আসে বিপ্লব । ঈদের দিন কাপড় চপড় কেনাকাটা নিয়ে হেলেনাকে বেধড়ক মারধর করে বিপ্লব। এ নিয়ে মঘি ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারন সম্পাদক পিলটন মাহমুদ ঈদের দিন গ্রাম্য সালিশ বৈঠক করে মীমাংসা করে দিয়েছেন। ভবিষ্যতে আর নির্যাতনের ঘটনা ঘটবে না মর্মে হেলেনার পরিবারকে আসস্থ করেন। ৪ মে বুধবার হেলেনাকে শ্বাসরোধ করে মেরে, ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে নিহতের ভাই দাবি করেছেন ও কোন ভাবেই যেন সত্য প্রকাশিত না হয় সেজন্য তার ছেলেকেও লুকিয়ে রাখা হয়েছে । এব্যাপারে আ,লীগ নেতা পিলটনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মেয়েটি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস নিয়ে মারা গেছে।
নিহত হেলেনর বাবা খলিলুর রহমান বলেন, বিপ্লব মাঝে মাঝে যৌতুক দাবি করত অনেক টাকা পয়সা দিয়েছি।। সে আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
নিহতের দুলাভাই ইবাদত বলেন, হেলেনা ২০ রোজায় আমার বাড়িতে গেলে টেলিফোনে বিপ্লবের সাথে অনেক গালাগালি হয় ।
নিহত হেলেনার ভাই নাজির বলেন, আমি ও সাদিকুলসহ কয়েকজন পুলিশ নিয়ে লাশ উদ্ধার করতে গেলে আমার একমাত্র ভাগিনাকে খোঁজ করতে থাকি। এক পর্যায়ে বিপ্লবের আত্মীয়-স্বজন আমাদের উপর হামলা করে।
তবে পুলিশ লাশটিকে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ময়না তদন্তে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন নিহতের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব। তবে নিহতের স্বামী বিপ্লবকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে।