মাগুরা মহম্মদপুরের শিবপুর মাঠে কৃষক মিরাজুলের ২ একর ৮১ শতক জমির ফসলের ক্ষতি
ফারুক আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার : মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের শিবপুর বিলের মাঠে কৃষক মিরাজুল ইসলামের ২ একর ৮১ শতাংশ জমিতে থাকা কলাগাছ, পেঁপে গাছ ও ভূমিতে থাকা নালিম গাছ কেটে দিয়েছে অমানুষরুপি দূর্বৃত্তর দল। গত ১৩ মে শুক্রবার ২০২২ সকাল অনুমান ৬/৭ টার সময় থেকে ১৪/১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী চক্রের দল যাদের অধিকাংশ সদস্যদের বাড়ি বাবুখালী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ডুমুরশিয়া গ্রামে। ২ একর ৮১ শতক জমির লিজ নেওয়া মালিক মিরাজুল ইসলাম ও মো. খোকন কাজী জানান, আমার এই জমিতে প্রায় ৩ হাজার ধরন্ত কলাগাছ, ১ হাজার ৫ শত পেঁপে গাছ ও অধিকাংশ জমিতে প্রচুর পরিমাণে নালিম গাছ লাগানো ছিলো। লিজ নেওয়া জমির মালিক মিরাজুল ও খোকন কাজী কেঁদে কেঁদে দুঃখ ভারাক্রান্ত বলেন, আমার লাখ লাখ টাকার টাকার বিরাট ক্ষতি হয়ে গেছে, যার ক্ষতির পরিমাণ অনেক আনুমানিক দশ লাখ টাকার উপরে।
তিনি আরও বলেন, লিজ নেওয়া জমিটার প্রকৃত মালিক ডুমুরশিয়া গ্রামের নওশের আলীর ছেলে মোহাইমিনর রহমান তার লোকজন দিয়ে এই গাছ গুলো কেটে দিয়েছে। তারা আরও বলেন, গাছ কাটার ঘটনার দিন মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল এর সাথে জমির বিষয় নিয়ে বসে উভপক্ষ। এরপর মহম্মদপুর ইউএনও অফিসে কথা বলার সময় ফোনে জানতে পারি জমির মালিক মোহাইমিনর ইশারায় সকাল থেকেই ১৪/১৫ দূর্বৃত্ত লোকজন আমাদের কষ্টের অর্জিত ফসলের গাছ গুলো কেটে সর্বনাশ করে দিয়েছে। তৎক্ষনাৎ গাছ বিষয়টি মহম্মদপুর থানা ইনচার্জ ওসি মো. ইকরাম হোসেন এর কাছে মিরাজুল ও খোকন অভিযোগ করলে, ডুমুরশিয়া গ্রাম থেকে ৩ জন আসামি জমীর, সাইফুল ও মিঠুন কে থানায় গ্রেফতার করে নিয়ে আসে পুলিশের একটা চৌকস দল। আসামিদের ধরার বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে মহম্মদপুর থানা ওসি ইকরাম হোসেন বলেন, গাছ কাটার ঘটনা কে কেন্দ্র করে, পুলিশ ৩ জনকে থানায় ধরে এনেছে এবং তাদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ব্যাপারে জমির প্রকৃত মালিক নওশের আলী মোল্লা বলেন, গাছ কাটার বিষয় ও জমি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না, যা জানে সব আমার ছেলে মোহাইমিনর রহমান। এ ব্যাপারে মোহাইমিনর রহমান এর কাছে মুঠোফোনে কল করা হলে সাংবাদিকের ফোন নম্বর টের পেয়ে ফোন রিসিভ করে নাই।