মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রাস্তার কাজ না করে টাকা ভাগাভাগি( সওজ) ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে রূপগঞ্জে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্বজনদের সংবাদ সম্মেলন মাগুরা গোপালগ্রাম ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এ্যাডভোকেট মিথুন রায় চৌধুরী পটুয়াখালী ভার্সিটির, পোস্টগ্রাজুয়েট স্ট্যাডিজ কমিটির সভা।। দুস্থ ও অসহায় মানুষের ভরসা যেন ঝর্ণা মান্নান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট সাপাহারে জোর পূর্বক লক্ষাধিক টাকার মাছ উত্তোলন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায়, মসজিদের ইমামের গরু লুট।। দুমকি উপজেলায়, গরু লুঠ মামলার ২ আসামি আটক শ্রীনগর থানা থেকে যুবদল নেতাকে ছিনিয়ে নিলো বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নওগাঁর মান্দায় ভূমিহীন কৃষকদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
Headline
Wellcome to our website...
মাগুরার সদর উপজেলার সাব রেজিস্টার গোলাম মর্তোজার লাগামহীন ঘুষ বাণিজ্য !
/ ২ Time View
আপডেট : শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২, ৬:০১ অপরাহ্ন

মাগুরার সদর উপজেলার সাব রেজিস্টার গোলাম মর্তোজার লাগামহীন ঘুষ বাণিজ্য !

 মোঃ রনি আহমেদ রাজু স্টাফ রিপোর্টার,

মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো: গোলাম মোর্তজা ঘুস ছাড়া কোন দলিল স্পর্শ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি এর আগে গাইবান্ধায় থাকাকালে সীমাহীন অনিয়ম -দুর্নীতি করে আয়ের সাথে সংগতিহীন অর্থ সম্পদ অর্জন করায় দুদকে অভিযোগ দায়ের হয়।তখন তাকে মাগুরায় বদলী করা হয়। গত ০১/১২/২০২০ ইং তারিখে তিনি মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে যোগদান করেন। তার নিজ জেলা যশোর। ০২/০৬/২০১৩ ইং তারিখে তিনি সাব রেজিস্ট্রার এর চাকুরীতে যোগদান করেন।মাত্র ৯ বছর তার চাকুরীর বয়স হলেও তিনি ঘুস -দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কোটি কোটি টাকা ও সম্পদের মালিক হয়ে গেছেন। স্থানীয় দলিল লেখক ও ভুমি মালিকদের অভিযোগ থেকে জানাগেছে, সাব রেজিস্ট্রার মো: গোলাম মোর্তজা মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে যোগদান করেই কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মচারিদের সমন্বয়ে একটি সিন্ডিকেট গঠন করেন।পরবর্তীতে দলিল ও জমির ধরণ ভেদে ঘুসের রেট নির্ধারণ করে দেন। এ ছাড়া আন্ডারভ্যালু দলিলে তিনি তার দাবী মত ঘুস দিতে বাধ্য করেন। অভিযোগ মতে, বাংলাদেশের সব সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে আরএস চুড়ান্ত রেকর্ড এ দলিল রেজিষ্ট্রি হলেও মাগুরা সদর সাব রেজিষ্ট্রার সেটি মানছেন না।তিনি প্রতি দলিল ২০ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে তবেই দলিল রেজিষ্ট্রি করেন। তিনি হাউজিং কোম্পানি ( ডেভলপার) ও জমির মালিক ( ল্যান্ড ডোনার) চুক্তিনামা রেজিস্ট্রেশনে পাওয়ার দলিলে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে থাকেন। কোন ডেভলপার এই পরিমাণ ঘুস না দিলে তার পাওয়ার দলিল আটকে রাখেন। একাধিক সূত্র জানায়,মাগুরা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে প্রতিমাসে প্রায় ১ হাজার দলিল রেজিস্ট্রি হয়।এসব দলিলের একটি বড় অংশেরই শ্রেণী পরিবর্তন করে রেজিস্ট্রি করা হচ্ছে। অনেক জমিতেই সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্য দেখিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করায় প্রতিমাসে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সে হিসেবে বছরে কমপক্ষে ৬০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এ ধরনের দলিল তৈরীতে কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের সাথে সংশ্লিষ্ঠ সাব রেজিস্টারসহ এক শ্রেণীর দলিল লেখক ও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একটি শক্তিশালী চক্র জড়িত রয়েছে । এ প্রসংগে কথা বললে মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো: গোলাম মোর্তজা সেলফোনে জানান,আমি যোগদান করার পর এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।বর্তমানে এই অফিসে দলিল রেজিস্ট্রেশনে কোন ঘূস দিতে হয়না। তিনি দুদকের অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, এমন কোন তদন্ত সম্পর্কে তার কিছু জানা নেই। ভুক্তভোগিরা এ বিষয়ে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী,সচিব,নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের পদক্ষেপ কামনা করেছেন।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page