মোঃ রনি আহমেদ রাজু স্টাফ রিপোর্টার
পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালার চড় ইউনিয়ন পরিষদে সচিবের চাকরি করে আব্দুর রাজ্জাক রাজা নিজবাড়িতে দৃষ্টিনন্দন আলী শান কোটি টাকার ডুপলেক্স বাড়ি নির্মান করে এলাকায় রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছে। ঢালার চড় ইউনিয়ন সচিব আব্দুর রাজ্জাক রাজা তার রয়েছে একটি নিজস্ব প্রাইভেট গাড়ি ও তিনটি হোন্ডা সহ দুটি বিল্ডিং, আরো আছে সিমেন্ট বাহি জাহাজ ও নামে বেনামে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে। আব্দুর রাজ্জাক রাজা বেড়া পৌরসভার ৫নং ওয়াড পায়না গ্রামের মৃত বক্বার ব্যাপারির ছেলে। মাত্র কয়েক বছর হল তিনি বেড়া উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদে চাকরি করছেন, মাত্র কয়েক বছর ব্যবধানের মধ্যে সে এত তাড়াতাড়ি বাড়ি, গাড়ি সহ নামে বেনামে প্রচুর সম্পত অর্জন করেছে । তার বাবার মৃত্যুর পুর্বে তাহার তেমন কোনো সম্পদ টাকা পয়সা রেখে যাননি। তার বাবার পেশা ছিল হকার, তা হলে এত রাতারাড়ি তিনি দুটি দৃষ্টিনন্দন বাড়ি যার মুল্য হবে প্রায় ৫ কোটি টাকার মত। গাড়ি ও হোন্ডা আছে, তার দাম ২৫ লাখ টাকার মত। সিমেন্ট বাহি জাহাজ আছে একটি যার আনুমানিক মূল্য ৮০ লাখ টাকার মত, এছাড়া রযেছে নামে বেনাম সম্পদ, ব্যাংক ব্যালেন্স।নিজের একটি প্রাইভেটকার, হোন্ডা রয়েছে ৩ টা, তার মাসিক বেতন অনুযায়ী সংসারের ছেলে, মেয়ের লেখা পড়ার খরচ সহ চলায় সহজ সাধ্য না । এমন অবস্থায় এত রাতারাতি বাড়ি, গাড়ি সহ সম্পদ অর্জন হল কি ভাবে, আলাউদ্দিনের চেরাগ কেও হারমানায়। বেড়া পায়না গ্রামের জন সাধারন ও মুরব্বিরা বলেন, সে ঢালার চর ইউনিয়ের সচিব পদে চাকরি করে মাত্র কয়েক বছরে তার সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ২শত গুনের বেশি, তার বিলাস বহুল বাড়ি গাড়ি দেখে আবাগ হওয়ার মত, বিষটি আমাদের তাগ লাগিয়ে দিছে। পায়না গ্রামের মুরব্বিরা বলেন ছোট চাকরি করে এত তারাতাড়ি বাড়ি,গাড়ি জায়গা জমি সহ টাকা পয়সার মালিক হওয়াটা অস্বাভাবিক । তার বাবার তেমন কিছু ছিল না, সে দৃর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে টাকা অর্জন করেছে, তাহা খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করছে সচেতন মহল। এ ব্যাপারে ঢালার চর ইউনিয়ের সচিব রাজার সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইউনিয়নে কাজ নিয়ে ব্যাস্ত আছি পরে কথা বলি বলে এড়িয়ে যান।