পটুয়াখালীতে জনজীবনে চরম দূর্ভোগ
সঞ্জয় ব্যানার্জী, পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালী দশমিনায় গুরুত্বপূর্ন সড়ক গুলোতে ফড়িয়ারা দখল করে ধানের ব্যবসায়
ভোগান্তিতে পথচারীরা। এতে করে সড়কে যান চলাচলে সৃষ্টি হ”েছ যানজট।
উপজেলার বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ন সড়ক সোমবার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক, স্কুলের সমনের সড়ক
দখল করে ব্যবসা করছে ধান পড়িয়ররা । উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের বড়
গোপালদী গ্রামের বাগলা বাজারে রাস্তার দু পাশে প্রায় ২শ’ বস্তা ধান রেখে উচু
টিলা বানিয়ে রেখেছে ধান ফড়িয়াররা। এ ছাড়া দশমিনা আরজবেগী বাজারের
পশ্চিম পাশে সড়ক জুড়ে ধানের বস্তার টাল দেখা যায়। উপজেলার গুরুত্বপূর্ন সড়ক
জুড়ে ধানের বস্তা টাল করা তার পাশে দাড়িয়ে আছে ট্র্যাক এত করে তৈরি হ”েছ
যনজট, যন চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পথচারী। উপজেলার নলখোলা, দক্ষিন দাসপাড়া,
সরকারি কলেজ রাস্তা, আলীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে, রমানথশেন সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সড়ক, আমতলা বাজার সড়ক দখল করে ধানের বস্তা ¯‘প করে
আসছে ফড়িয়াররা। উপজেলা প্রশাসনের চোখের সামনে দিনের পর দিন রাস্তা দখল
করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসলেও দেখে না দেখা দায়িত্বে অবহেলা করছে বলে
¯’ানীয়, পথচারী, পরিবহন চালক ও অট্যোচালকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের ঠাকুরের হাট সড়কে ধানের বস্তা ও
ট্র্যাক রাখায় রাস্তার এক- তৃতীয়াংশ দখল করে ধান বস্তা, ট্র্যাকে উঠানো, এবং
ভ্যানগড়ী দিয়ে এন নামানোর কাজ করছে দিনভর ধান ব্যবসায়ীরা (ফড়িয়ারা)।
দশমিনা সদরের মো. কামাল হোসেন বলেন, দশমিনা-ঢাকা, দশমিনা-পটুয়াখালী ও
দশমিনা-বরিশালসহ বিভিন্ন ¯’ানে লোকজন গুরুত্বপূর্ন কাজে যায়, রোগী
বহন কারি এ্যাম্বুলেন্স এবং মালামালবহী মিনি ও বড় ট্র্যাক আসা যাওয়া করে কিš‘
ধানের বস্তায় সড়কের বেশিভাগ জায়গা দখল করে কাজ করছে এতে করে ঘন্টার পর
ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় তা প্রশাসন দেখে ও দেখে না ।
দক্ষিন দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা সামছুল হক বলেন, গছানী বাজারে বিভিন্ন
পেশার লোকজন নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল কেনা-বেঁচা করে বাজারটি উত্তর পাশে
সড়ক জুড়ে ধানের বস্তার ¯‘প কেওই দেখার নেই মনে হ”েছ ফড়িয়ারদের ধান ব্যবসা
করার জন্য এরাস্তা নির্মান করেছে সরকার। এ ¯‘পের তলে শিশু ও বয়স্ক মানুষ কোন
সময় পড়তে পার।
আউলিয়াপুর গ্রামের শাহিন বলেন, সড়ক দখল করে ধানের বস্তা রাখায় যেমনি
আমাদের অট্যোরিস্কা চালাতে ভোগান্তি পোহতে এবং পথচারীদের দূর্ঘটনার
আশংকা থাকে। বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক দখল করে ধানের বস্তা টাল দিয়ে রাখা বিপদ
জনক।
দশমিনা সদর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাহজাহান বলেন, এলাকার বিভিন্ন
সড়ক যেভাবে ধানের বস্তা রেখেছেন ফড়িয়ারা যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে
পারে। আমি বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জানাবো ।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. নাফিজা নাজ নীরা
বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে ধান ব্যবসায়ীদেও বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যব¯’া নেয়া
হবে। তিনি আরো বলেন, এবিষয়ে উপজেলার সাত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদেরকে
অবগত করা হবে।###
খালে বাঁধ দিয়ে অবাধে মৎস্য শিকার
পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর দশমিনায় তেঁতুলিয়া নদীর শাখা খালে বাঁধ দিয়ে অবাধে চলছে মৎস্য
শিকারের মহোৎসব। তবে খালে পানি না থাকায় বোর চাষিদের সর্বনাশ।
জানা যায়, তেঁতুলিয়া নদীর শাখা খালে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের ফলে দশমিনা উপজেলার
বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের তিন গ্রাম ও বহরমপুর ইউনিয়নের এক গ্রাম এবং বাউফল
উপজেলার এক গ্রামে পানির অভাবে দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় ২০হাজার মানুষসহ বোর
চাষিরা। খালে পানি না থাকায় কৃষকের চরম পানি সংকট দেখা দিয়েছে। আর হাহাকার
করছে খালে দুই পারে বসবাসরত মানুষ ও বোর চাষি পানির জন্য। রোপা বোর ধান এখন
শুকিয়ে যা”েছ পানি অভাবে। বর্তমানে পুকুর ও ডোবার পানিও সেচ দেয়া শেষ।
এবিষয়ে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিন দাস পাড়া গ্রামের বোর চাষি মো. জামাল
হাওলাদার, মজিদ হাওলাদার, কবির হোসেন ও জামাল মৃধা জানান, আমাদের পানি সংকটে
বোর ধান এখন শুকিয়ে যা”েছ।
এবিষয়ে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হেল্লাল উদ্দিন জানান,
দীর্ঘ বছর যাবৎ এ খাল খনন না করার কারনে খালের গভীরতা কমে যায়। ফলে ¯’ানীয়রা খালে
বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করেন।
এবিষয়ে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম বলেন, গছানী
বাজার থেকে বগী বাজার পর্যন্ত খাল খননের জন্য এনজিওর তালিকায় অর্šÍভুক্ত করা হয়েছে।
আশা করি খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে খনন কাজ শুরু করতে পারবে।