তারাগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক নারী ধর্ষণ - থানায় মামলা
খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগে রংপুরের তারাগঞ্জে ডাঃ মোঃ আল ইবাদত হোসেন পাইলট (৪০) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন একই ইউনিয়নের এক নারী।
আল ইবাদত হোসেন পাইলট উপজেলার সয়ার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং কাজীপাড়া (বকসীপাড়া) গ্রামের মৃত হেফাজুল বকসীর ছেলে।
ভুক্তভোগী ওই নারী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, বিয়ে ও নার্সের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে গত ২ বছর থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক মেলামেশা করেন পাইলট চেয়ারম্যান। কখনো নিজের বাসায় , কখনো রোগী দেখার লালদীঘি চেম্বারে , কখনো রংপুরের আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে রাত দিন এক সঙ্গে কাটাতেন । সর্বশেষ গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এর পর থেকে তাকে বিয়ের কথা বললে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় । অন্যত্র বাসা ভাড়া নিয়ে তাকে একান্তে ভোগ করার ও সকল খরচ বহন করার বেশকিছু মেসেজ প্রমাণ স্বরূপ দেখান ওই নারী ।
এ ব্যাপারে সয়ার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আল ইবাদত হোসেন পাইলটের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে একটি কুচক্রী মহল আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আজমল হোসেন জানান, মামলার তদন্ত কাজ এবং আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই আসামিকে আইনের মুখোমুখি করা হবে।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) জহুরুল ইসলাম জানান, অভিযোগকারী নারীকে সয়ার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন। বুধবার ওই নারী নিজে বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ।